ভগবানপুর: সরকারি চাকরি পেতে কয়েক লক্ষ টাকা ঢেলেছিলেন। টাকার বিনিময়ে চাকরিও পান। তবে ভুয়ো নিয়োগপত্রেই চাকরি হয় তাঁর। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। দেড় বছর চাকরি করার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাকরি খোয়ালেন ওই যুবক। শুধু তাই নয়, তাঁর ঠাঁই হয়েছে গরাদের পিছনে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার ভগবানপুর থানার কাঁকড়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, ধৃত যুবকের নাম সুভাষ চন্দ্র মাইতি। ভগবানপুর থানার কাঁকড়া গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ চন্দ্র মাইতিকে টাকা দিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর জামিন খারিজ করে দেন। আপাতত ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ভগবানপুর কাঁকড়া গ্রামের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র মাইতি সেচ দফতরে চাকরিতে নিযুক্ত হন। এই চাকরির জন্য সুভাষের পরিবারের সদস্যরা এক ব্যক্তিকে কয়েক লক্ষ টাকা দেন বলে অভিযোগ। এরপর সুভাষের কাছে সেচ দফতরে চাকরির ভুয়ো নিয়োগপত্র আসে। সেই নিয়োগপত্র দেখিয়েই সেচ দফতরে চাকরিতে যোগদান করেন সুভাষ চন্দ্র মাইতি। তারপর ভুয়ো চাকরি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই সুভাষের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ভগবানপুর থানার পুলিশ। তারপর এই ভুয়ো চাকরি চক্রের পাণ্ডার হৃদিশ পেতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুভাষকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, “ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে সুভাষ চন্দ্র মাইতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”