বারুইপুর: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kabach) কর্মসূচিতে গিয়ে এবার অস্বস্তিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ডিএ-র দাবি জানালেন স্কুলের শিক্ষিকারা। রবিবার বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের মদারাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঈশান চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাই ডিএ (DA)-র দাবি জানান। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সহাস্যে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি করলে সরকার যে কঠোর পদক্ষেপ করবে, তা স্পষ্ট করে দেন স্পিকার।
জানা গিয়েছে, বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নিজের কেন্দ্রেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান। অধ্যক্ষ আসার কথা জানতে পেরে এদিন, রবিবার হওয়া সত্ত্বেও মদারাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঈশান চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা স্কুলে আসেন এবং কিছু ছাত্রীও আসে। বিধায়ক এলাকায় ঘুরে জনগণের সমস্যার কথা জানার পাশাপাশি ঈশান চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে যান। তখনই বিধায়ককে সামনে পেয়ে ডিএ না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শিক্ষিকারা।
যদিও ডিএ-র দাবির বিষয়টি সহাস্যে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ডিএ-র দাবি ন্যায্য হলেও আরও অন্যান্য স্তরের মানুষ রয়েছে। তাদের কথাও ভাবতে হবে। ডিএ সরকার দিতে চায়। কিন্তু, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ডিএ দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।” আগামী ২০ ও ২১ তারিখ সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
তবে সরকারি চাকরি করেও সরকারের নিয়ম না মানার বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০ ও ২১ তারিখ কর্মবিরতিতে অংশ নিলে সেটা বরদাস্ত করা হবে না এবং বিধানসভার ক্ষেত্রে তিনি কঠোর পদক্ষেপ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সরকারি অন্যান্য ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মানা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।