দক্ষিণ দিনাজপুর: তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা সংগঠনে ফের বড়সর রদবদল। এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার নয়া চেয়ারম্যান হলে বিপ্লব মিত্র (Biplab Mitra)। সরানো হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী শংকর চক্রবর্তীকে। ফলে নয়া চেয়ারম্যান পদে এলেন দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি। শুক্রবার তৃণমূল শীর্ষে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে।
তবে জেলার চেয়ারম্যান পদ হারালেও হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই শংকর চক্রবর্তীর। তাঁকে রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে বলে খবর। যদিও এই নিয়ে এখনও তিনি মুখ খুলতে চাননি। তবে তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, এমন গুঞ্জন তাঁদের কানেও পৌঁছেছে। কিন্তু দলের তরফে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি না আসার কারণে কেউ প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করছেন না।
আজকের পদক্ষেপের ফলে জেলার শীর্ষ স্তরে ফের একবার ফিরে এলেন বিপ্লব মিত্র। প্রসঙ্গত, বিপ্লব মিত্র আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ লোকসভা আসনে তৃণমূল বালুরঘাট আসনের হেরে যাওয়ায় তাঁকেও জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। জেলা সভাপতি করা হয় অর্পিতা ঘোষকে। সেই সময় বিপ্লব মিত্র জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ মোট ১০ জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এদিকে চলতি বছর অর্পিতা ঘোষকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিতেই ফেরর বিপ্লব মিত্র বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন তৃণমূলের থাকলেও কোনও দায়িত্ব তিনি পাননি। অবশেষে আজ রাজ্য নেতৃত্ব বিপ্লব মিত্রকে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব দিলেন।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার রোজভ্যালি কর্তার স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডু
২০২০ সালের মাঝামাঝি অর্পিতাকে সরিয়ে গৌতম দাসকে জেলা সভাপতির পদে নিয়ে আসে তৃণমূল নেতৃত্ব। গৌতমবাবু গঙ্গারামপুরের বিধায়ক। তিনিও দিনকয়েকের জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে ফিরে এসেছিলেন কয়েকমাসের মধ্যেই। দলের কড়া নির্দেশ ছিল, পদ মিললেও বিপ্লব মিত্রকে নিয়েই কাজ করতে হবে। আজকের রদবদলের ফলে সেই প্রতিফলনই দেখা গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ধৈর্যের পরীক্ষা নিলে ভুল করবে’, সেনা দিবসে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের