ময়ূরেশ্বর: মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ বিস্ফোরণ। উড়ে যায় ঘরের চাল! বিস্ফোরণের তীব্রতায় ফাটল ধরে দেওয়ালেও। আর তার ঠিক ৩ ঘণ্টার মধ্যেই ভোল গেল ঘরটির। অ্যাজবেস্টসের ছউনির জায়গায় নতুন খড়ের চাল। বুজিয়ে দেওয়া হয় ফাটল। অন্তত বিস্ফোরণের আগে ও পরে এমনই ছবি ফুটে উঠেছে।
ময়ূরেশ্বরের ষাটপলশা গ্রাম সূত্রে খবর, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ জোরালো বিস্ফোরণ হয় ওই ক্লাবে। উড়ে যায় অ্যাজবেস্টসের ছাউনি। পুলিস পৌঁছলে ঘটনাস্থল থেকে অনেকটা দূরে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘণ্টা তিনেক সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারই মধ্যে খড়ের ছাউনি লাগানো হয়েছে। ফাটল দেওয়ালের মেরামতির চেষ্টা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ।
গতকাল বীরভূমের পুলিস সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছিলেন, ১৫টি বোমা উদ্ধার করা হয় ঘটনাস্থল থেকে। এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। সূত্রের খবর, ৩-৪ জন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। যাঁদের মধ্যে একজন বিস্ফোরণের কথা অস্বীকার করেছেন। বাকিদের খোঁজ নেই। ময়ূরেশ্বরের বিস্ফোরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডলের নেতৃত্বে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল ক্লাবে। মুর্শিদাবাদ থেকে লোক আনা হয়। বিস্ফোরণের ঘটনা চাপা দিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছাউনি পাল্টে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘ভোটের পর তৃণমূলে থাকবেন কালীঘাটের দু’জন’
অন্য দিকে, পুলিস সুপার ও বিরোধীদের মন্তব্য উড়িয়ে তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডল জানিয়েছেন, কোনও বিস্ফোরণ হয়নি। কালীপুজোর উপলক্ষে ছেলেরা বাজি ফাটাচ্ছিল। পুলিস মিথ্যে কথা বলছে। গ্রেফতারের বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তবে, এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ। শুধুমাত্র ক্লাবের নতুন খড়ের ছাউনি আর দেওয়ালে ফাটল বোজানোর চিহ্নই উস্কে দিচ্ছে নানা প্রশ্ন।