Bolpur: ইনিও পুলিশকর্মী, ধরা পড়ে মুখ লুকিয়ে উঠছেন পুলিশের গাড়িতে, কী করেছেন?
Bolpur: ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুরে। বোলপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এএসআই লাল্টু হাজরা। তিনি সিউড়ি পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবারই তাঁকে বোলপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক অভিযুক্ত লাল্টু হাজরার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বোলপুর: খুলে আম অপহরণের চেষ্টা। এবার এমনই অভিযোগ উঠল খোদ এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ওই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুরে। বোলপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এএসআই লাল্টু হাজরা। তিনি সিউড়ি পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবারই তাঁকে বোলপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক অভিযুক্ত লাল্টু হাজরার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে মফিজুল ইসলাম নামে এক আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মফিজুলের বাড়ি মুর্শিদাবাদে হলেও কর্মসূত্রে রামপুরহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, লালু হাজরা নামে ওই পুলিশকর্মী তাঁর থেকে দেড় লাখ টাকা দাবি করেছিলেন এবং সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়াতেই তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি, রবিবার তাঁকে যখন অপহরণের চেষ্টা করা হচ্ছিল, সেই সময় লাল্টু হাজরা পুলিশের উর্দিতেই ছিলেন। তবে পুলিশের গাড়ি ছিল না। একটি সাধারণ গাড়িতেই অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল। তাঁকে এই কাজে আরও দু’জন সাহায্য করছিলেন, যাদের মধ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার বলে দাবি অভিযোগকারীর।
অভিযোগকারী ওই আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবসায়ীর বক্তব্য, তাঁকে রামপুরহাটের দিক থেকে অপহরণ করে বর্ধমানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়েই বোলপুরের শুপুর এলাকায় গাড়ি থামলে কোনওক্রমে তিনি গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপরই স্থানীয় মানুষজন জড়ো হয়ে ওই পুলিশকর্মী লাল্টু হাজরাকে ধরে ফেলেন। পরে বোলপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। গতকাল ওই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতারের পর আজ বোলপুর আদালতে পেশ করা হয় এবং বিচারক তাঁর পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।