Abhishek Banerjee attacks BSF: গরু চুরির জন্য বিএসএফ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী : অভিষেক

Abhishek Banerjee attacks BSF: নব জোয়ার অভিযানের পনেরো দিনে বীরভূমে প্রবেশ করেন অভিষেক। নলহাটি থেকে মুরারই সর্বত্র ছিল লোকে লোকারণ্য।

Abhishek Banerjee attacks BSF: গরু চুরির জন্য বিএসএফ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী : অভিষেক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2023 | 11:59 PM

বীরভূম: ঝড় বয়ে গেলেও নীরব ছিলেন তিনি। এই প্রথম অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অনুব্রতহীন বীরভূমে নবজোয়ার যাত্রায় এসে এবার অনুব্রত এবং সুকন্যার কার্যত ‘পাশে’ দাঁড়ালেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সেকেন্ড ইন কমান্ড। অভিষেক বলেন, “আমি কাউকে ডিফেন্ড করতে চাইছি না, কিন্তু ইডি বলছে গরু চুরির জন্য বিএসএফ (BSF) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী।” মুরারইয়ের জনসভায় এদিন অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের কথা বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেন অভিষেক। সম্পত্তি ১৫০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য সুকন্যা গ্রেফতার হলে ৮০ হাজার গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি হওয়া অমিত শাহর ছেলেকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। কেন অমিত শাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না তা নিয়েও করেন প্রশ্ন। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এ ধরনের হাস্যকর অভিযোগ করে আমার মনে হয় উনি নিজেই নিজেকে হাস্যকর বানিয়ে ফেলছেন।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতের দরজা তো খোলা। তেমন মনে হলে আদালতে যেতে পারেন।

এদিকে অভিষেক যখন এই আক্রমণ শানাচ্ছেন তখন আবার বাংলাতেই রয়েছেন অমিত শাহ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অভিষেক আরও বলেন, “গরু চুরির টাকা অমিত শাহ না তাঁর ছেলের কাছে গিয়েছে? একমাত্র আমরা চোখে চোখ রেখে লড়াই করছি। আগামী দিনে এর ব্যতিক্রম হবে না। ” এদিন সভার শুরু থেকেই অমিত শাহকে আক্রমণ করছিলেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, “বাবুরা গরু চোর ধরতে বেরিয়েছেন, বিএসএফ কার অধীনে? বিএসএফ স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম কী? অমিত শাহ। বিএসএফ মদত দিয়ে গরু পাচার করে সেটা অমিত শাহের কাছে যায় না তাঁর ছেলের কাছে?” যদিও শমীক বলেন, “উনি নতুন কিছু বলুন। মানুষ নতুন কিছু শুনতে চায়। কেন্দ্রীয় সরকার একবারও বলেনি, কোনও কোনও জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের বিচ্যুতি নেই। এই মুহূর্তে বিএসএফের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জেলবন্দি। কয়েকজনকে ক্লোজ, সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু, এক-দুজনের বিচ্যুতির জন্য যদি তৃণমূল ভাবে ওদের গায়ে লাগা সমস্ত কালি ওরা তুলে ফেলবে, মুছে ফেলবে তা সম্ভব নয়। তাই এ ধরনের কথা বলে আর মনে হয় মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।”

এরপরই ফের একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন অভিষেক। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “আপনাদের একশোদিনের টাকা জোর করে কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। বীরভূম জেলায় প্রায় ১৪ লক্ষ লোক রয়েছে যাঁদের জীবন-জীবিকা একশোদিনের কাজের উপর নির্ভরশীল। আর প্রায় ৮৩ হাজার লোক রয়েছে যাঁরা ২ বছর আগে কাজ করে বসে রয়েছে যাদের প্রাপ্য টাকা এখনও ছাড়া হয়নি।”

নব জোয়ার অভিযানের পনেরো দিনে বীরভূমে প্রবেশ করেন অভিষেক। নলহাটি থেকে মুরারই সর্বত্র ছিল লোকে লোকারণ্য। অনুব্রতহীন বীরভূমে অভিষেকের অভিযানে যেন কোনো খামতি না থাকে তানিয়ে সজাগ ছিলে জেলার সব নেতারাই।