Bolpur: বোলপুর এখন টোলপুর? পুরসভার নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে, হেনস্থা ভারতীয় জওয়ানকেও

Bolpur: অভিযোগ, কোনও অনুমতি ছাড়াই বোলপুরে নানা জায়গায় বেআইনিভাবে পার্কিংয়ের নামে তোলা হচ্ছে টাকা। আবার কোথাও পুরসভার নামে পরপর বসানো হয়েছে ‘টোল’। সেখানেও তোলা হচ্ছে টাকা। এক ভারতীয় সেনা জওয়ানকেও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।

Bolpur: বোলপুর এখন টোলপুর? পুরসভার নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে, হেনস্থা ভারতীয় জওয়ানকেও
শোরগোল প্রশাসনিক মহলে Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 07, 2025 | 4:37 PM

বোলপুর: বারবার উঠেছে অভিযোগ। কিন্তু তারপরেও বদলায়নি ছবিটা। দিনে দিনে বেড়েছে বেআইনি টোলের দৌরাত্ম্য। যা দেখে অনেকেই বলছেন বোলপুর এখন যেন টোলপুর। শেখ নাসিরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে লাগাতার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। ‘তোলাবাজির’ শিকার খোদ ভারতীয় সেনা জওয়ান। পরিবার নিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে শান্তিনিকেতনে ঘুরতে গিয়েছিলেন মহম্মদ হাবিবুর রহমান নামে ওই সেনা জওয়ান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে টোল চাওয়ার নামে তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর কাছ থেকে জোর করে পার্কিং ফি আদায় করা হয়। যাঁরা হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের একজন আবার স্বীকারও করেন তাঁদের পাঠিয়েছে শেখ নাসির। 

সূত্রের খবর, এই শেখ নাসিরকে আবার গত ২৬ মে-র তৃণমূলের মহামিছিলে দেখা গিয়েছিল। সেই মহামিছিলের লোকসংখ্যা নিয়েই বিস্তর চাপানউতোর হয়। ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে এখনও শোরগোল চলছেই। বিরোধীরা বলছে, ওইদিনের মিছিলে অনুব্রত যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ি এই শেখ নাসিরের। এই শেখ নাসিরেরই নাকি ডাম্পার, বালি-পাথরের পাশাপাশি টোলের ব্যবসা রয়েছে।  

কিন্তু অভিযোগ, কোনও অনুমতি ছাড়াই বোলপুরে নানা জায়গায় বেআইনিভাবে পার্কিংয়ের নামে তোলা হচ্ছে টাকা। আবার কোথাও পুরসভার নামে পরপর বসানো হয়েছে ‘টোল’। সেখানেও তোলা হচ্ছে টাকা।  মহম্মদ হাবিবুর রহমান নামে ওই সেনা জওয়ান বলছেন, “ওরা বলল এই পার্কিং রেজিস্টার্ড। তাই আপনাকে টাকা দিতেও হবে। না হলে ছাড়বে না বলে। শেখ নাসিরের কথা বলে।” শুধু এখানেই নয়, বোলুপুর শহরের নানা প্রান্তেই তোলাবাজির অভিযোহ অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ শেখ নাসির ও তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে। বাইরের গাড়ি দেখলেই হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শহরে ঢোকা-বেরনোর ৬টি জায়গায় কোনও বৈধ কাগজ ছাড়াই বোলপুর পুরসভার নাম করে চলছে দেদার তোলাবাজি, অভিযোগ এমনটাই। এমনকী টোলগুলির উপর স্পষ্ট লেখা বোলপুর পুরসভার অনুমোদন রয়েছে। অনুমোদিত এজেন্ট সেখ নাসির। পাশে লেখা রয়েছে রেটও। 

বছর আড়াই আগেও ঠিক একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল শহরে। কিন্তু তারপরেও কীভাবে ফের এল টেন্ডার? কীভাবে শেখ নাসিরে নামে চলছে টোল? উত্তর নেই বোলপুর পুরসভার কাছে। ফোনই তোলেননি পুর কর্তারা।  ফোন তোলেননি চেয়ারম্যান, ফোন ধরেননি শেখ নাসিরও। টোল কর্মীদের একজন যদিও বলছেন, “টেন্ডার নিয়েই সবটা হয়েছে। নাসির সবটা জানেন। আমাকে কর্মী হিসাবে রেখেছেন।” আর একজন বলছেন, “এলাকার গাড়ি হলে ছেড়ে দেয়। বাইরের গাড়ি হলে নেয়। গাড়ির নম্বর দেখেই তো সবটা বোঝা যায়।”