
বোলপুর: একসময় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করিয়েছিলেন। পুলিশকে সাতদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য। তাও আবার পুলিশকেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা। জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত সেই অনুব্রত মণ্ডল খোশ মেজাজেই বেরিয়ে আসেন এসডিপিও-র অফিস থেকে। প্রশ্ন ওঠে, অনুব্রতকে কি তাহলে কিছুই বলল না পুলিশ?
সূত্রের খবর, ৯০ মিনিট অর্থাৎ প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রতকে। পরপর ৯৫টা প্রশ্ন সাজানো হয়েছিল অনুব্রতর জন্য। তার মধ্যে ৭৫ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর দিতে হত ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-তে। আর বাকি প্রশ্নের উত্তর দিতে হত তথ্যভিত্তিক। সে সব প্রশ্নে নাকি নিরুত্তরই ছিলেন অনুব্রত।
সূত্রের খবর, অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘কাকে ফোন করেছিলেন?’ অনুব্রত ফোন করার কথা স্বীকার করে নিলেও তিনি নাকি দাবি করেছেন এক কর্মীর মার খাওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল। পুলিশের দিক থেকে প্রশ্ন যায়, ‘আপনি থ্রেট দিয়েছিলেন? গালিগালাজ করেছিলেন?’ সূত্রের খবর, এর উত্তরে অনুব্রত বলেছেন, ‘না, আমি আর কোনও কথা বলিনি।’
শুধু তাই নয়, বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে গালিগালাজ দেওয়ার কথা মনে করাতে অনুব্রত নাকি বলেছেন, সে কথা তাঁর মনেই নেই। বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই বলেছেন, ‘নার্ভের ওষুধ খাই, কিছু মনে নেই।’ তাঁর স্বর নকল করে কেউ চক্রান্ত করছে, কেষ্ট মণ্ডল এমনটাও দাবি করেছেন বলে সূত্রের খবর।
এখন প্রশ্ন হল, কোনও কিছুই যদি না করে থাকেন, তাহলে দলের কথায় ক্ষমা চেয়ে বসলেন কেন? সূত্রের খবর, অনুব্রত উত্তরে জানিয়েছেন, দলনেত্রী নেত্রী তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশ তাঁর শিরোধার্য। নেত্রীকে ভগবান বলে মানেন তিনি। তাই নাকি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। লিটন হালদারের সঙ্গে অনুব্রতর কথোপকথন ফাঁস হয়ে যায় আগেই। কদর্য ভাষায় কথা বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকে। তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি, যৌন হেনস্থার মতো অভিযোগ উঠেছে। এবার পুলিশ অনুব্রতর বিরুদ্ধে আর কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে আছে সব মহল।