বীরভূম: বগটুইকাণ্ডে প্রথম দিন থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। এবার রামপুরহাট থানার সাসপেন্ড হওয়া আইসিকে তলব করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয়েছে ত্রিদীপ প্রামাণিককে। মঙ্গলবারই তাঁকে সিবিআই ক্যাম্পে যেতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে রামপুরহাট হাসপাতাল, বগটুই মোড় ও হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করল সিবিআই। বগটুই গ্রামে কোনও সিসিটিভি না থাকায় ঘটনার সময়ের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তবে হাইওয়ে ধরে দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকেছিল কি না তা জানার জন্য হাইওয়ে ও বগটুই মোড়ের ফুটেজ সংগ্রহ করা হল। একইসঙ্গে ঘটনার দিন রাতে বগটুই গ্রামের আগুন নেভাতে আসা দমকলের অফিসার ও ফায়ার অপারেটরদের তালিকা ধরেও তলব করার প্রক্রিয়া শুরু করছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে এদিন ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে মিহিলালকে।
সোমবারই রামপুরহাটের এসডিপিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই গোয়েন্দারা। এরপরই মঙ্গলবার রামপুরহাট থানার সাসপেন্ড হওয়া আইসিকে তলব করা হল। কারণ, এই দুই আধিকারিকই এই ঘটনা সম্পর্কে প্রথম তথ্য পেয়েছিলেন। তাই তাঁদের মুখ থেকে বিবরণ শুনতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, জানতে চাওয়া হতে পারে এত বড় খবর কানে আসার পর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল থানার তরফে।
সূত্রের খবর, ত্রিদীপ প্রামাণিকের কাছ থেকে মূলত তদন্তকারীরা জানতে চান, খবর পাওয়ার পর এলাকায় পুলিশ বাহিনী গিয়েছিল কি না। সিনিয়র অফিসার যাঁরা আছেন, তাঁদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল কি না। সেখান থেকে কি কোনও নির্দেশ এসেছিল? এলে তা কী? এই সব প্রশ্নের উত্তরকে সাসপেন্ড হওয়া আইসির বয়ান হিসাবে রেকর্ড করা হতে পারে। সে কারণেই রামপুরহাটের সিবিআই ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে তাঁকে।