বীরভূম: বগটুইয়ে এখন দুটি টোটোকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। টোটো করেই কি ওই রাতে অকুস্থলে নিয়ে আসা হয়েছিল পেট্রোল, বোমা? টোটো থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তকারীদের কাছে ঘটনার মূল দুই সাক্ষী শেখ লাল শেখ ও মিহিলাল শেখ জানিয়েছিলেন, ওই রাতে দুটো টোটো করে তরল দাহ্য, পেট্রোল নিয়ে আসা হয়েছিল। ঘটনার পরের দিন সকালে মিহিলালের বাড়ির সামনেই দুটি টোটো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হলুদ রঙা ওই টোটোতেই বিস্ফোরক, দাহ্য পদার্থ আনা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই তা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। টোটোর রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি নোট করা হয়। তারপর টোটোর সিট ও পা রাখার জায়গা সহ সব কিছুই খতিয় দেখা হয়।
নমুনা সংগ্রহের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। টোটোর সিটের নীচ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এখান থেকে সংগৃহীত নমুনা ও পোড়া বাড়ি থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলিকে মিলিয়ে দেখা হবে। যদি ওই নমুনা মিলে যায়, তাহলেই স্পষ্ট হবে, যে এই টোটো করেই সেই দাহ্য পদার্থ বহন করে আনা হয়েছিল।
তদন্তে একটি তথ্য প্রথমেই উঠে এসেছে। এই ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্ত রানা শেখ ও তার বাবা মিঠুন শেখের টোটো করেই দাহ্য পদার্থ ওই রাতে মিহিলালের বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, উদ্ধার হওয়া টোটো দুটিই তাদের। কিন্তু এই বিষয়টি এখনও তদন্তসাপেক্ষ। টোটোর কাগজপত্র খতিয়ে দেখে মালিকানা স্পষ্ট করতে চান তদন্তকারীরা। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ২১ মার্চ সোমবার রাতে ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠে, তাঁরা যখন মঙ্গলবার বেলার দিকে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন, তখন থেকেই ওই দুটি টোটোতে ‘বেওয়ারিশ’ ভাবে পড়়ে থাকতে দেখেছেন তাঁরা। ওই টোটোদুটির অন্য কেউ দাবিদারও নেই। সেদিনের পর থেকে টোটোদুটি সেখানেই দাঁড়িয়ে। গ্রামবাসীদের বয়ানও এক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তদন্তকারীদের কাছে।