Bagtui Massacre: রাজি হয়েও সিবিআই-এর ক্যাম্পে যেতে এখন নারাজ মিহিলাল? পিছনে কাজ করছে কার পরামর্শ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 28, 2022 | 11:31 AM

Bagtui Massacre: রবিবার রাতে সিবিআই-এর তরফে প্রথম ফোন যাওয়ার পর তিনি রাজি হয়েছিলেন সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে।

Bagtui Massacre: রাজি হয়েও সিবিআই-এর ক্যাম্পে যেতে এখন নারাজ মিহিলাল? পিছনে কাজ করছে কার পরামর্শ?
বগটুইয়ে মিহিলালের শরীরের নমুনা সংগ্রহ (ফাইল চিত্র)

Follow Us

বীরভূম: বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে যেতে অস্বীকার করলেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, তাঁর পক্ষে এই অবস্থায় সিবিআই ক্যাম্পে যাওয়া সম্ভব নয়। পারলে তাঁরা আসুন তাঁর বাড়িতে। প্রথমে তিনি সিবিআই ক্যাম্পে যেতে রাজি হন। পরে আবার সিবিআই-এর নম্বরে ফোন করে বলেন তিনি যেতে পারছেন না। বয়ান দিতে কেন সিবিআই-কে বাড়িতে ডাকলেন মিহিলাল? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিহিলাল একাধিক জনের পরামর্শ নিচ্ছেন। এবং তাঁদের পরামর্শেই মিহিলাল চান না সিবিআই ক্যাম্পে যেতে। প্রথম কারণ মিহিলাল ভয় পাচ্ছেন, ক্য়াম্পে গিয়ে জেরার মুখে পড়লে, কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনিও গ্রেফতার হতে পারেন। সেই ভয় রয়েছে মিহিলালের। কারণ ভাদু শেখ খুন ও তার পরবর্তী সময়ে তিনিও সেখানেই ছিলেন। এমনটাই পুলিশের কাছে খবর ছিল। সিবিআই-ও সেরকমই তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। মিহিলাল এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী। গণহত্যার কিছুক্ষণ আগেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরিবারকে ফেলে পালিয়েছিলেন তিনি। সেদিন সন্ধ্যা থেকে ঠিক কী কী হয়েছিল, তা তিনি জানেন। অন্য কারণ, মিহিলাল সিবিআই-কে জানিয়েছেন, তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই সিবিআই ক্যাম্পে যাওয়ার মতো তাঁর ক্ষমতা নেই।

রবিবার রাতে সিবিআই-এর তরফে প্রথম ফোন যাওয়ার পর তিনি রাজি হয়েছিলেন সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে। সূত্রের খবর, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নম্বরেই রিং ব্যাক করে মিহিলাল জানিয়ে দেন, তিনি সিবিআই ক্যাম্পে যেতে পারবেন না। তাঁরাই যেন আসেন তাঁর বাড়িতে। শারীরিক অসুস্থতার কারণটি মানবিক। সেক্ষেত্রে সিবিআই-ই মিহিলালের বাড়িতে যেতে পারেন বলে থাকা যাচ্ছে।

বগটুইকাণ্ডের তদন্তে আজও গ্রামে গিয়েছে সিবিআই- এর দল। এবার রয়েছে টেকনিক্যাল টিমও। এই তদন্তকারীরা মূলত টেকনিক্যাল বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখছেন। জানা যাচ্ছে, শুরুতেই তাঁরা পুলিশকর্মীদের মোবাইলে কল রেকর্ড সংগ্রহ করছেন। ভাদু শেখ খুনের পর থানা ও জেলার শীর্ষ পুলিশকর্তারা কার কার সঙ্গে কতবার কথা বলেছেন সেই রেকর্ড সংগ্রহ করছেন। একইসঙ্গে ঘটনার রাতে ওই পুলিশ কর্মী ও অফিসারদের লোকেশন কোথায় ছিল, তাও সংগ্রহ করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। জেলা পুলিশের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের আগে এই হোমওয়ার্ক করে রাখছেন গোয়েন্দারা। কারণ জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা সঠিক তথ্য সিবিআইকে জানাচ্ছে কিনা, তা বলে দেবে এই টেকনিক্যাল ডাটা। ফলে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসবে সঠিক সত্য।

আরও পড়ুন:  North 24 Parganas News: ‘আমার বউয়ের নাইটিটা ছিঁড়ে ফেলল ওরা, বলছে আবার পুলিশকে টাকা দিয়ে সব করি…’

আরও পড়ুন: ভাদুর খুনের পর পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কাদের কত বার ফোনে কথা? এবার বেরিয়ে আসবে উত্তর

Next Article