বীরভূম: বগটুই কাণ্ডে ধৃতদের পলিগ্রাফি টেস্টের আবেদনের শুনানি স্থগিত থাকল রামপুরহাট আদালতে। তদন্তে অগ্রগতির জন্য মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেন-সহ ৮ জনের পলিগ্রাফি টেস্ট করানোর আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। তবে সেই আবেদনের মামলার শুনানি বুধবার স্থগিত রাখলেন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক। আগামী ৮ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানি হবে। বগটুই কাণ্ডে ধৃত ১৮ জনকে এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৮ জনের পলিগ্রাফি টেস্ট করার জন্য আদালতে আবেদন করেন সিবিআই এর আইনজীবী। সেই আবেদনের শুনানি আগামী ৮ এপ্রিল হবে। ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রামপুরহাট মহকুমা আদালত। এই ১৮ জন অভিযুক্তকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে ছিল। এদিন তাদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজত শেষ হলে তাদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারকের এজলাসে তোলা হলে বিচারক ১৮ জনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় ধৃত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে রামপুরহাটের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন । তাকে আগামী ৮ এপ্রিল রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। দুজন নাবালককে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের অধীনে রেখে বিচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, পলিগ্রাফি টেস্ট কী? পলিগ্রাফি টেস্টের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হয়, উত্তর দেওয়ার সময়ে তাঁর অভিব্যক্তি পর্যালোচনা করা হয়। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি মিথ্যা বলছেন কিনা, তার অভিব্যক্তিতেই ফুটে ওঠে। এছাড়াও জেরা পর্বে ওই ব্যক্তির রক্তচাপও লক্ষ্য করা হয়।
মঙ্গলবারই সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযুক্ত ১৯ জনকে জেরা করা হয়। তখনও মুখোমুখি বসিয়ে, কখনও আলাদাভাবে জেরা করা হয়। বগটুইকাণ্ডে এবার অভিযুক্তদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে সিবিআই। অকুস্থল অর্থাৎ সোনা শেখের বাড়ি থেকে যে লোহার রড, তেলের জার, পর্দা ঝোলানোর রড, ধারালো অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা, তা থেকে হাত ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। এছাড়াও সোনা শেখে ও আশেপাশের যে বাড়িগুলিতে ২১ মার্চ রাতে আগুন লাগানো হয়েছিল, সেখান থেকেই আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করছে সিবিআই। এরপর ধৃতদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে।