বগটুই: গণহত্যার পর ১২ দিন কেটে গিয়েছে, এখনও বগটুই ঘিরে কাটছে না আতঙ্ক। এবার বোমাতঙ্ক ছড়াল বগটুই গ্রামে (Bagtui Village)। ভাদু শেখ খুনে (Bhadu Sheikh Murder) অন্যতম অভিযুক্ত পলাশ শেখের বাড়ি লাগোয়া উঠোনেই হদিশ মিলল একটি নীল ড্রাম । স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সন্দেহ, ওই ড্রামের ভিতরেই লুকানো রয়েছে বোমা (Bomb)। সকালেই খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। ইতিমধ্যেই তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন। অভিশপ্ত সেই রাতের পর থেকেই ফেরার পলাশ শেখ। এখনও অবধি তাঁর কোনও খোঁজ মিলছে না। এরইমধ্য়ে তাঁর বাড়ির পাশ থেকে সন্দেহজনক ড্রাম উদ্ধারের পরই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, সোনা শেখের ঘনিষ্ঠ পলাশ শেখের বাড়ি ঠিক ইদগার পাশেই। এদিন সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালায় পুলিশ বাহিনী। পলাশ শেখের বাড়ির উঠোনের ঠিক পাশেই রাখা ইটের স্তূপের ঠিক পিছনেই একটি গর্ত দেখা যায়। কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢাকা ছিল ওই গর্তটি। ভিতরে একটি নীল রঙের মুখ বন্ধ ড্রাম দেখতে পেয়েই বোমাতঙ্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। বেলা গড়াতেই সিউড়ি থেকে বগটুই এসে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড, বর্তমানে তারা গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে এবং তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বগটুই গণহত্যার পরই বীরভূমের একাধিক জায়গা থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০-রও বেশি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বগটুই সহ আশেপাশের এলাকায় এই ধরনের বোমা তৈরি করা হয়, প্লাস্টিকের ড্রামেই মজুত করে রাখা হয় সেই বোমা। সদ্য গ্রামে ফেরত আসা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই পুলিশ জানতে পারে যে, এলাকায় আরও বোমা মজুত থাকতে পারে। এরপরই পুলিশ পলাশ শেখের বাড়ির কাছে তল্লাশি চালায়। সন্দেহজনক ড্রাম নজরে আসতেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়, বসানো হয় পুলিশি পাহারাও।
বগটুই গণহত্যার ১২ দিন কেটে যাওয়ার পরও সন্দেহজনক ওই ড্রাম উদ্ধার নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদি সত্যিই ওই ড্রাম থেকে বোমা উদ্ধার হয়, তবে গোটা ঘটনার ১২ দিন পর কেন পুলিশ তা জানতে পারল, তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। উল্লেখ্য, বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের পরই বীরভূমে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই সময়ই তিনি জেলায় মজুত সমস্ত বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও কী বারুদের স্তূপের উপরই বসে রয়েছে বগটুই?