রামপুরহাট : বুধবার বগটুইয়ে (Bagtui Massacre) এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তারপর সেখান থেকে রামপুরহাট হাসপাতালেও যান তিনি। সেখানে আহতদের অবস্থার খোঁজখবর নেন শুভেন্দু। হাসপাতালে গিয়ে প্ৰথমেই তিনি কথা বলেন সেখানের এমএসভির সঙ্গে। এরপর তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে যান আহতদের দেখতে। সেখানে এক শিশু সহ তিন জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “বার্ন উইনিটই নেই, লিখিত ভাবে হাসপাতাল কতৃপক্ষের তরফে জানানো পরেও ৬০-৬৫ শতাংশ বার্ন অবস্থায় নাজিমা বিবিকে রেখে দেওয়া হয়েছে রামপুরহাট হাসপাতালে।”
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশেই স্থানান্তর না করে এখানেই রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এমনটাই জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে তাঁদের মাধ্যমে হাসপাতালে লিখিত দিয়ে আমরা কলকাতায় কিংবা কল্যাণীতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।”
রামপুরহাটের হত্যাকান্ড নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। বুধবার সকালে মনোজ টিগ্গার নেতৃত্ব এমএলএ হোস্টেল থেকে বিজেপির বিধায়কদের একটি দল কলকাতা থেকে রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীও আলাদাভাবে পৌঁছান রামপুরহাটে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলে যে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, তা বার বার অভিযোগ তুলে আসছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। বিশেষ করে একের পর এক রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিদের খুনের পর, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর আরও চড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
বুধবার সন্ধ্যাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বগটুই হত্যাকান্ডের পর এলাকা পরিদর্শনের জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পাঁচ সদস্যের এক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছেন। তাতে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, ভারতী ঘোষ এবং আরও তিন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস।
আরও পড়ুন : ‘দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে সবরকম সাহায্য করবে ভারত সরকার,’ রামপুরহাট হত্যাকান্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর