Bagtui: বগটুই-বর্ষপূর্তি: শুভেন্দু ঢোকার আগেই গোটা গ্রাম ঢেকে গেল মমতা-অভিষেকের ফ্লেক্সে

Bagtui: তৃণমূল ও বিজেপি- দুটি শহিদ বেদীর দূরত্ব চার মিটার। বিজেপির শহিদ বেদী মিহিলাল শেখের দরজার সামনে হয়েছে। ঠিক তার উল্টো দিকে রাস্তার ধারে লালনের বাড়ির পাশে তৃণমূলের শহিদ বেদী।

Bagtui: বগটুই-বর্ষপূর্তি: শুভেন্দু ঢোকার আগেই গোটা গ্রাম ঢেকে গেল মমতা-অভিষেকের ফ্লেক্সে
গ্রামে তৃণমূলের পোস্টার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 5:07 PM

বগটুই: বগটুইকাণ্ডের এক বছর পার হল। পৃথকভাবে কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি-তৃণমূল। সকালে তৃণমূলের তরফে শহিদ স্মরণ হয়েছে। বিকালে গ্রামে যাওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দু আসার আগেই বগটুইয়ের রাস্তা মুড়ে ফেলা হল মমতা অভিষেকের ছবিতে। যে রাস্তা দিয়ে শুভেন্দু ঢুকবেন গ্রামে, দুপুরে সেখানেই এনে লাগান হল ফ্লেক্স। আরও অদ্ভুত বিষয়, সেই ফ্লেক্সে লেখা নেই একটি শব্দও। কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আর ব্যাক গ্রাউন্ডে ঘাস ফুল প্রতীক। এরপরই গ্রামে কানাঘুষো শুরু হয় কারা ফ্লেক্স লাগাল? ফ্লেক্সে কিছুই লেখা নেই। তৃণমূলের শহিদ স্মরণের সময় দলীয় কর্মীরা এই ফ্লেক্স লাগান। দুপুর পর্যন্ত যে ফ্লেক্স চোখে পড়ল না, হঠাৎ শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগেই গ্রামের রাস্তার মুখে কেন এমন ফ্লেক্স পড়ল, বগটুই জুড়ে শুরু রাজনৈতিক চর্চা।

তৃণমূল ও বিজেপি- দুটি শহিদ বেদীর দূরত্ব চার মিটার। বিজেপির শহিদ বেদী মিহিলাল শেখের দরজার সামনে হয়েছে। ঠিক তার উল্টো দিকে রাস্তার ধারে লালনের বাড়ির পাশে তৃণমূলের শহিদ বেদী। তৃণমূল নেতা অস্বীকার করলেও তড়িঘড়ি তৈরি শহিদ বেদীতে কোনও শহিদের নাম ছিল না। দৃশ্যতই কাগজে নাম প্রিন্ট করে এনে আঁঠা দিয়ে সেলোটেপ দিয়ে তা লাগানো হয়েছিল।

তবে সকালে তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যায়নি নিহতদের এক জন পরিজনকেও। নেতারা অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে নেমে বানিরুল শেখের বাড়ি যান। সেখানে ঢোকার মুখে বাধা দেন পরিবারের সদস্যরা। এসবের মধ্যেই মঞ্চের দিকে ফিরে যান রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দোপাধ্যায়। পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় মূল ভূমিকা নেন রামপুরহাটের ব্লক সভাপতি সৈয়দ জিম্মি। তিনিই শেষমেশ পরিবারকে রাজি করান।

প্রায় মিনিট কুড়ি ধরে বনিরুল এর বাড়িতে শহিদ পরিবারের সদস্যের বোঝানোর পালা চলে। দুজনকে নিয়ে শহিদ বেদীর দিকে যান। সেখানে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। দেড়টায় শেষ হয় অনুষ্ঠান।

সকালেই বগটুইয়ে নিহতদের বাড়িতে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। সাংবাদিকদের সামনে তাঁরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। নিহতের পরিজন শেখ নুর বলেন, “এখন পর্যন্ত সবে তিন জনের ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে, সাত জনেরই মেলেনি। এত ভয়ানক একটা হত্যাকাণ্ড, একই বাড়িতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।” সরকারি গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন পরিজনরা। এবার বিজেপির সভামঞ্চে নিহতদের পরিজনদের দেখতে পাওয়া যায় কিনা, সেটাই দেখার।