বোলপুর: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তী। জমি দখল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন উপাচার্য। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল হয়ে গিয়েছে। আর যাঁরা জমি দখল করেছেন, তাঁদের নাম নাকি তিনি সামনে আনতে পারবেন না। বোলপুরে বেশ কয়েকজনকে এমনটাই বলছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে চলে আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কার নাম সামনে আনার কথা বলছেন তিনি?
উপাচার্যকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘বিশ্বভারতীয় ৬৭ একর জমি কব্জা হয়ে গিয়েছে। তাতে অনেক বড় বড় লোকও রয়েছেন। তাঁদের নাম বললে বাঙালিরা আমাকে খেয়ে ফেলবে। বাঙালিদের মধ্যে একটা মিথ্যা অভিমান আছে। বড় লোক হয়ে গিয়েছে বলে তাঁরা চুরি করলেও বলা যাবে না।’ কারও নাম না নিয়েই উপাচার্য আরও বলেন, ‘ওঁকে পড়াশোনার দিক থেকে খুবই শ্রদ্ধা করি। কিন্তু বিশ্বভারতীর সঙ্গে অন্যায় করেছেন। তাই আমি ক্ষমা করব না।’
মঙ্গলবারই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে বের করতে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বেঁধে যায় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধেও। পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঢিল মারতেও দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
কয়েকদিন আগেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে উপাচার্যকে কেন্দ্র করে। ছাত্রদের অভিযোগ ছিল, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তাঁর আমলে তিনি বিশ্বভারতীর অনেক ক্ষতি করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে অনেক কাজ করেছেন নিজের ইচ্ছামত। আরও অভিযোগ, উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন কথা বলতে যান তখন তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে নির্দেশ দেন তাঁদের আন্দোলনকারীদের গুলি চালানোর জন্য। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ক্যাম্পাসে। এরই মধ্যে ফের সামনে এল বিতর্কিত মন্তব্য।