
বীরভূম: সাঁইথিয়া শহরে ৫ জন বিএলও বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল বিজেপি। তাদের দাবি, এই বিএলও-রা প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তৃণমূলের প্রতিটি কর্মসূচিতেই তাঁদের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়। সাঁইথিয়া পুরসভার কর্মী সুখেন্দু খাঁকে বিএলও করার তীব্র আপত্ত জানিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি এক ছাত্র নেতার মাকে বিএলও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি কতটা নিরপেক্ষ কাজ করতে পারবেন, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপির।
অনিমেশ মণ্ডল, যিনি সাঁইথিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের, তিনি আবার তৃণমূলের ওয়ার্ড সেক্রেটারি। দ্বিতীয় জন হলেন, সুখেন্দু খান, যিনি সাঁইথিয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএলও, তিনি সাঁইথিয়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী। যাঁকে তৃণমূলের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে, সেই ছবিও সামনে এসেছে। সাঁইথিয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের অনিন্দ্য মিস্ত্রি তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত। পাশাপাশি তৃণমূলের ছাত্রনেতা প্রীতম দাস, তাঁর মা মলয়া দাসকে সাঁইথিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএলও।
উল্লেখ্য, বহু BLO-ই শাসকদলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে আগেই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানান তিনি। সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও করেন শুভেন্দু। যেখানে হরিণঘাটার দিব্যেন্দু সর্দার নামে এক BLO-র কথা বলেন তিনি। তিনি হরিণঘাটা ১ নম্বরের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বলে দাবি শুভেন্দুর। সামনে আসে মালদহের মানিকচকের এক BLOর কথা। BLO পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতা তথা এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মতিউল আনসারিকে। তিনি শ্যামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
BLO-দের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূলের কথা, বিজেপির কথা শুনবেন না। কেবল নির্বাচন কমিশনের কথা শুনবেন। তিহাড়ের ৫২ জন BLO কিন্তু এখনও জামিন পাননি। আপনাদের কিন্তু জেলে কাটাতে হবে।”