বীরভূম: জেলাতে প্রচুর অস্ত্র লুকিয়ে রাখা রয়েছে। রয়েছে বোমাও। সব খুঁজে বার করতে হবে। বগটুইয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশ কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতারাতি বীরভূমে উদ্ধার হল বোমা। প্রায় ২০০ টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ । ঘটনাটি বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার ছোট ডাঙাল গ্রামের কাছে। জানা যাচ্ছে, এই ছোট ডাঙাল গ্রামের ক্যানেলের কাছে ছটি ব্যারেলে বোমাগুলি রাখা রয়েছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে, মাড়গ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ । খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডে। বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন রজ্যের যেখানে যেখানে বোমা ও বেআইনি অস্ত্র সব উদ্ধার করতে । তারপরেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ।
আগামী কয়েকদিন ধরে রাজ্য জুড়ে চলবে পুলিশের বিশেষ অভিযান। সেই কারণে পুলিশের সব শীর্ষ কর্তাদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে আগামী ১০ দিনের জন্য। রাজ্যে কোথায় কোথায় বোমা বা বেআইনি অস্ত্র রাখা আছে, সেই তল্লাশি চালানো হবে। যে সব থানায় এই সব অভিযোগ বেশি আসে, সেই থানাগুলির আইসিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে হবে পুলিশ কর্তাদের। সেই রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বগটুইতে দাঁড়িয়ে আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই গ্রেফতার করা হয়েছে আনারুলকে। শুধু আনারুলই নয়, মমতা বলেন, ‘একটা খুন যখন হয়ে গিয়েছে, তখন এসডিপিও-র সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’ এই গ্রামে আগে অনেক খুন-খারাপি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পুলিসের একাংশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে রাজ্যের অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, “ভাঙড়ের সময়ে বলেছিলেন না, ওরা হচ্ছে আমাদের দলের সম্পদ। যে সকাল পর্যন্ত দলের সম্পদ ছিল, সে আপদ হল কী করে? বাংলায় কীভাবে এত অস্ত্র আসছে? তৃণমূল নেতা খুন হলেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। ”
আরও পড়ুন: বছর ১৩-র মেয়েটার মধ্যে ওতটাই সাহস ছিল, বোনের জন্য মরতেও বুক কাঁপল না তার!