Bolpur: পসরা ভালই সাজিয়েছিলেন, এক চুটকিতেই নাকি সমস্যা হত গায়েব, ২৬ বছরের যুবতী ডেরায় যেতেই আসল রূপ বেরিয়ে এল তান্ত্রিকের

Bolpur Woman Death: ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর পৌরসভা এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বোনডাঙায়। মৃত মহিলার নাম তুলসী টুডু। বোলপুর পৌরসভা এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বোনডাঙা এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাথা ব্যথা ও পেটের যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

Bolpur: পসরা ভালই সাজিয়েছিলেন, এক চুটকিতেই নাকি সমস্যা হত গায়েব, ২৬ বছরের যুবতী ডেরায় যেতেই আসল রূপ বেরিয়ে এল তান্ত্রিকের
অভিযুক্ত তান্ত্রিকImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2024 | 3:41 PM

বোলপুর: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও কুসংস্কারের শিকার। তান্ত্রিকের কথায় ভরসা করে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ ফিরিয়েছিল পরিবার। আর তারপরই চরম পরিণতি। অকালেই প্রাণ হারালেন গৃহবধূ। পরে ক্ষিপ্ত পরিবার আটকে রাখল ওই তান্ত্রিককে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তারা এসে গ্রেফতার করে তাকে।

ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর পৌরসভা এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বোনডাঙায়। মৃত মহিলার নাম তুলসী টুডু। বোলপুর পৌরসভা এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বোনডাঙা এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাথা ব্যথা ও পেটের যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে সেখানে সেভাবে কাজ না হওয়ায় বনডাঙা গ্রামের এক আদিবাসী তান্ত্রিক লক্ষ্মণ সোরেনের কাছে নিয়ে আসে তাঁর পরিবার। মৃতের পরিবারের এও দাবি, ওই তান্ত্রিক তুলসীর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। সেই টাকা দিলে তার স্ত্রী বেঁচে যাবে তা না হলে তাঁদের বাড়ির গৃহবধূ মারা যাবেন এমনটাই জানিয়েছিলেন। তবে এতগুলো টাকা দেওয়ার সাধ্য ছিল না পরিবারের। ফলে টাকা দিতে দেরি হওয়ার পরই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জানায় মৃতের পরিবারের লোকজন।

এলাকাবাসীর দাবি, ওই তান্ত্রিক ডাক্তারের ওষুধ খেতে দিতেন না। তিনি যে জরিবুটি দিত সেটাই খাওয়াতেন সেটিই বারেবারে খেতে বলতেন। এরপর বৃহস্পতিবার তুলসী টুডু মারা যান। তখনই গ্রামের লোকজন ক্ষেপে ওঠেন। তান্ত্রিক লক্ষণ সোরেনকে বাড়ির মধ্যে বন্ধ করে গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শান্তিনিকেতন থানা নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় এই ধরনের ব্যবসা করছিলেন লক্ষ্মণ। তাই তাঁরা চায় না যে এই যুগেও কোনও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মানুষ থাকুক। ডাক্তারি চিকিৎসা বাদ দিয়ে কোনও তান্ত্রিকের ভরসায় জীবন বাঁচক। মৃতের স্বামী বলেন, “আমি বলেছিলাম বৌকে ঠিক করে দিতে। একটা পাঁঠা দেব। কাঁসার বাসন দেব। বললেন পাঠা তো লাগবেই। ৫০ হাজার টাকা লাগবে। আমি ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর কাজ না হওয়ায় গিয়েছিলাম।”