
বীরভূম: রোগী মৃত্যুতে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। মৃতার নাম ঝুমা কোঁড়া (২৯), পেশায় ইটভাঁটার শ্রমিক। পরিবার সূত্রে জানা যায়, চারদিন আগে দুবরাজপুরে কাজ করার সময় তাঁর পায়ে ইট পড়ে গুরুতর চোট লাগে। ব্যথা অসহনীয় হয়ে উঠলে বুধবার দুপুরে তাঁকে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার পর থেকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে একটি ইনঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, ইনঞ্জেকশন দেওয়ার পরই ঝুমার মৃত্যু হয়। পরিবারের এক সদস্যের দাবি, “আমাদের মেয়ের অবস্থা ওতটাই খারাপ ছিল না। চিকিৎসকরা বললেন, সকালে একটা ইঞ্জেকশন দিতে হবে। আর তারপরই হঠাৎ করে অবনতি।”
পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাও চিকিৎসা পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে, হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। রিপোর্টের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবার মান নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।