Birbhum: বিয়ের চার মাসেই এসব! জামাইষষ্ঠীর রাতে পায়চারি করতে ছাদে যান নবদম্পতি! দু’জনকে দেখে শরীর দিয়ে হিমস্রোত বয়ে গেল সকলের
Birbhum: মাত্র চার মাসে বোধ গ্রামের পদ্মার সঙ্গে বিয়ে হয় ইলামবাজারের সাহাপুর গ্রামের রাজকুমার বাউড়ির। তবে পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে দু'জনের মধ্যে ঝামেলা হতে থাকে। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তির কারণে বাপের বাড়িতে থাকতেন পদ্মা।

বীরভূম: জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়িতে রাতে এলাহি খাওয়া দাওয়া হয়। এরপর সকালে ঘুমোতে চলে যাওয়ার পর বাড়ির ছাদে পায়চারি করতে গিয়েছিলেন জামাই। স্ত্রী ততক্ষণে ঘরে ঘুমোতে চলে গিয়েছিলেন। রাতে আর কেউ টেরও পাননি। সকালে দীর্ঘক্ষণ ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ডাকতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। দরজা না খোলায়, ভেঙে ভিতরে ঢুকে রীতিমতো শিউরে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। মেঝেতে পড়ে চাপ চাপ রক্ত, বিছানায় পড়ে বাড়ির মেয়ের শরীর। সারা শরীরে ক্ষত, গলায় শিরা কাটা। খাটের আরেক প্রান্তে পড়ে জামাইয়ের শরীর। তাঁরও পেটে গভীর ক্ষত। ভয়ঙ্কর দৃশ্য বীরভূমের দুবরাজপুরের বোধ গ্রামে। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পদ্মা বাউড়ি (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র চার মাসে বোধ গ্রামের পদ্মার সঙ্গে বিয়ে হয় ইলামবাজারের সাহাপুর গ্রামের রাজকুমার বাউড়ির। তবে পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হতে থাকে। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তির কারণে বাপের বাড়িতে থাকতেন পদ্মা।
সোমবার জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে শ্বশুরবাড়িতে যান রাজ কুমার। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যান দু’জনে। সকালবেলা গলাকাটা অবস্থায় ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় স্ত্রীর। অভিযোগ স্ত্রীকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন রাজকুমার। তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সদর হাসপাতালে। যদিও হাসপাতালের বেডে শুয়েও খুনের অভিযোগ বা গতকাল রাতে অশান্তির অভিযোগ অস্বীকার করছেন রাজকুমার বাউড়ি। মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিউড়ি সদর হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ।





