Visva Bharati University: আমরণ অনশনে পড়ুয়া, চাপের মুখে নোটিস প্রত্যাহার বিশ্বভারতীর
Visvabharati University: কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। একটি নোটিস জারি করা হয় বিশ্বভারতীর তরফে।
বীরভূম: ছাত্রদের দাবি মেনে নোটিস প্রত্যাহার করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভ দেখিয়ে কেউ যদি পরীক্ষায় উপস্থিত না হয়, তা হলে তাঁকে অকৃতকার্য হতে হবে বলে নোটিস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সোমবার এই নোটিসের বিরুদ্ধে দুই পড়ুয়া আমরণ অনশনে বসেন। আরও ধারাল হয় আন্দোলন। অবশেষে সিদ্ধান্ত বদলাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই নোটিস প্রত্যাহার করা হল বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে তারা। দুই পড়ুয়া দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা অনশন করার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোটিস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানায়। এরপর অনশন তুলে নেয় আন্দোলনরত দুই পড়ুয়া।
বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের জেরে এখনও বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটেনি। প্রায় সবক’টি বিভাগে তালা লাগিয়ে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা বিক্ষোভও দেখান। ক্রমেই আন্দোলনের তেজ বাড়ছিল। এরপরই কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। একটি নোটিস জারি করা হয় বিশ্বভারতীর তরফে। সেখানে বলা হয়, পরীক্ষায় যাঁরা যাঁরা অংশ নেবেন না, তাঁরা সকলেই অকৃতকার্য হবেন।
এই নোটিস ছাত্র আন্দোলনে ঘৃতাহুতির সমান হয়। আরও তেজ বাড়ে আন্দোলনের। সোমনাথ সৌ নামে এক পড়ুয়া এই নোটিসকে পড়ুয়া বিরোধী নোটিস বলে দাবি তোলেন। তিনি আমরণ অনশনে বসে পড়েন। তাঁর সঙ্গী হন আরও একজন। এরপরই মঙ্গলবার সকালেই আরও একটি নোটিস আসে বিশ্বভারতীর তরফে। সেখানে বলা হয়, অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়ে যে নোটিস ছিল তা প্রত্যাহার করা হল। নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় কেউ উপস্থিত হতে না পারলে অকৃতকার্য হবে না। হোস্টেল খোলা, অনলাইনে পরীক্ষা ও উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন শুরু করেছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে।
আরও পড়ুন: Contai Municipality: চার দশকে এই প্রথম কাঁথিতে খর্ব ‘অধিকারীর’ অধিকার, এবার চেয়ারম্যান সুবল মান্না