AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পরিত্যক্ত বাড়িতে বিজেপি বুথ সভাপতির হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহ! নিশানায় তৃণমূল

BJP: বিজেপি বুথ সভাপতির এই মৃত্য়ুকে পারিবারিক বিবাদের জের বলে দেখতে নারাজ পদ্ম শিবির। বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকাছাড়া ছিলেন ইন্দ্রজিত্‍।

পরিত্যক্ত বাড়িতে বিজেপি বুথ সভাপতির হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহ! নিশানায় তৃণমূল
মৃত বিজেপি কর্মী, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2021 | 4:08 PM
Share

বীরভূম: পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিজেপি (BJP) বুথ সভাপতির হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য খয়রাশোলের হজরতপুর গ্রামে। মঙ্গলবার বেলা দেড়টা নাগাদ মৃতদেহটি দেখতে পান এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে মৃত বিজেপি বুথ সভাপতির নাম ইন্দ্রজিত্‍ সূত্রধর। বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পদ্মের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে খয়রাশোলে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা।

মৃত বিজেপি (BJP) কর্মীর স্ত্রী প্রিয়া সূত্রধরের অভিযোগ, হজরতপুর গ্রামে একটি মন্দিরের কাছে পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে মৃত ইন্দ্রজিতের হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, মৃতের মুখ গামছা দিয়ে, হাত প্লাস্টিকের তার ও পা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ওই বিজেপি নেতাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। মৃতের পরিবারের তরফে আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি, ওই বিজেপি কর্মী একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।

যদিও, বিজেপি (BJP) বুথ সভাপতির এই মৃত্য়ুকে পারিবারিক বিবাদের জের বলে দেখতে নারাজ পদ্ম শিবির। বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকাছাড়া ছিলেন ইন্দ্রজিত্‍। সম্প্রতি ফিরেছিলেন বাড়িতে। তারপরেই এই ঘটনা। ইন্দ্রজিতকে খুন করার পেছনে শাসক শিবিরের হাত আছে বলেই অনুমান গেরুয়া শিবিরের। এই ভিত্তিতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই সন্ত্রাস চলছে। ইন্দ্রজিত্‍ সূত্রধর বুথ সভাপতি ছিলেন। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ক্ষমতা দখলের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।”

পাল্টা, স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিজেপির স্বভাব হল সবেতে রঙ চড়িয়ে কথা বলা। গোটা জেলায় ওদের কোনও অস্তিত্ব নেই। তাই কিছু হলেই তৃণমূলের নামে দোষ দেবে। এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদের জের। এরসঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়।”

খয়রাশোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ওই বিজেপি বুথ সভাপতিকে খুন করা হয়েছে। তবে, এই ঘটনা কেবল পারিবারিক বিবাদের জের নাকি এর পেছনে কোনও রাজনৈতিক অনুষঙ্গ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Exclusive Manoj Jha: মমতা বড় নাম, তবে মুখের রাজনীতি চান না আরজেডি-র ‘ভাইরাল সাংসদ’ মনোজ ঝাঁ