বীরভূম: শান্তিনিকেতনে পাঁচ বছরের শিশুকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে আবারও বীরভূমে শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটল। তদন্তে সিউড়ি থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সিউড়ি থানা এলাকার হাটজনবাজার রেলগেট সংলগ্ন বস্তি এলাকায় এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ নাবালকের নাম নাজিম উদ্দিন মণ্ডল। বয়স ৮ বছর। তদন্তে নেমেছে সিউড়ি থানার পুলিশ।
নিখোঁজ শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে নাজিমউদ্দিন বাড়ি থেকে বের হয় বন্ধুদের সঙ্গে। বাড়ির সামনেই খেলা করে তারা। এর মাঝে শৌচকর্মের জন্য সেখান থেকে পাশের একটি মাঠে বাচ্চাটি যায় বলে শেষ জানা যায়।
পরিবারের দাবি, তারপর থেকেই তার দেখা মিলছে না ওই শিশুর। সম্ভাব্য সমস্ত এলাকায় খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপরেই পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ জানান। ঘটনার তদন্তে নামে সিউড়ি থানার পুলিশ।
বাড়ির আশপাশের এলাকা তন্নতন্ন করে খোঁজ চলাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার রাতেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দিয়ে আশেপাশের পুকুর,ডোবায় খোঁজ চালানো হয়।
নাজিমউদ্দিনের মায়ের নাম জুলেখা বিবি। নাজিম তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলে। জুলেখার প্রথম পক্ষের স্বামী নদীয়ার পলাশির বাসিন্দা। সেই কারণে ওদিন রাতেই জুলেখাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল নদিয়াতেও রওনা দেয়। সেখানে তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী কসিমউদ্দিন মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি চালায়৷ কিন্তু নাবালকের খোঁজ মেলে না।
শুক্রবার সকাল থেকেও সিউড়িতে ওই নাবালকের বাড়ির আশপাশের এলাকা পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হয়। প্রসঙ্গত, পুজোর ঠিক আগেই শান্তিনিকেতনে এক পাঁচ বছরের শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিন-চার দিন প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকেই উদ্ধার হয় তার পচাগলা দেহ। গোটা গ্রাম তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিও। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি এখনও তদন্তের অধীন।