বীরভূম: এবার বোলপুরের লটারির দোকানে হানা দিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকার লটারি পাওয়া নিয়ে শুক্রবার বোলপুরের চৌরাস্তা এলাকায় একটি লটারি এজেন্সিতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, লটারি দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে সিবিআই-একে কাছে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন তাঁরা।
চলতি জানুয়ারিতে রাজ্যের এক জনপ্রিয় ও নামজাদা লটারি সংস্থার একটি ওয়েবসাইটে ১ কোটি টাকার লটারি বিজেতা হিসাবে নাম উঠে আসেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সে সময় লটারি পাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে তদন্তকারীদের প্রশ্নে কখনওই সরাসরি উত্তর দেননি অনুব্রত। ১০ মাস পরে সেই লটারি-কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, বোলপুরের চিত্রা মোড়ে একটি লটারি দোকান থেকে ওই টিকিটটি কেনা হয়েছিল। এর আগে লটারি ব্যবসায়ী বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। নিজাম প্যালেসে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। সূত্রের খবর, জানতে চাওয়া হয়, অনুব্রত নিজে গিয়ে সেই টিকিট কিনেছিলেন নাকি কারও মাধ্যমে। তবে এ দিন ওই লটারির দোকানে আচমকা হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। নতুন কোনও সূত্র পেতে দোকানের কর্মীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। গরু পাচারের মোটা টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হচ্ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই লটারি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র সিবিআই আধিকারিকদের কাছে জমা দিতে হবে দ্রুত।
এদিকে, বোলপুরের একটি ব্যাঙ্কের শাখা থেকেও আজই নথি তলব করেছে সিবিআই। গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই শাখাতেই আগুন লাগে। ওই ব্যাঙ্কেই দু’বার তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।