বোলপুর: অনুব্রতর আত্মীয়ের নামে একাধিক বিলাসবহুল রিসর্টের খোঁজ মিলল বোলপুরে! একাধিক রাইস মিলের পর রিসোর্ট ব্যবসায় টাকা লগ্নি? ঘুরপথে গরু পাচার কয়লা পাচারের টাকা? প্রশ্ন উঠছে।
অনুব্রতের ভাগ্না রাজা ঘোষ বলেন, “আমার স্ত্রীর নামে এই রিসর্ট। লোন করে কিনেছি। অন্য কোনও টাকা নেই।” এরপরই TV9 বাংলার প্রতিনিধি প্রশ্ন করেন, কত টাকা লোন করেছেন? উত্তর মেলেনি।
রাজা ঘোষ আরও বলেন, “অভিযোগ কে করছে? আমি যে অনুব্রতর ভাগ্নে সেটা অস্বীকার করতে পারি না। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছাড়া আমার সঙ্গে অনুব্রতর আর অন্য কোনও সম্পর্ক নেই। সেটা রাজনৈতিক হোক কিংবা ব্যবসায়ীক হোক। সেটা ওঁর সতীর্থরাই জানেন।” পারমিতার অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এবার আসা যাক সেই পেল্লাই বিলাসবহুল রিসোর্ট প্রসঙ্গে। বনবাণী রিসোর্ট। আরণ্যক রেস্টুরেন্ট। কয়েক বিঘা জমিতে চোখ ধাঁধানো বিল্ডিং। ছবির মতো। বোলপুর- সিউড়ি রাজ্য সড়কের পিচ রাস্তা পর্যন্ত দখল হয়ে গিয়েছে রিসর্টের পার্কিং জোন। রিসর্টের পাঁচিল হয়েছে একেবারে PWD রাস্তা পর্যন্ত।
এলাকার এক শিক্ষক বলেন, “প্রভাবশালীদের রিসর্ট। যদি পূর্ত দফতরের কর্তারাই না দেখতে পান, তাহলে কী হবে। আমরা সাধারণ মানুষ কী করব, আমাদের তো ভয় রয়েছে।”
অপারেশন ম্যানেজার অভিজিৎ বললেন, “আমি পর্যটকদের দেখভাল করি। এখানে চাকরি করি। আমাদের মালিকের নাম পারমিতা ঘোষ। কোথা থেকে টাকা এসেছে সেসব বলতে পারব না। ”
তবে রিসর্টের গেট খুলে ঢুকতেই ফোন গেল অজানা কারোর কাছে। তারপরেই রক্ষীরা বাধা দিয়ে জানান ঢোকা যাবে না। অনেকটা বোঝানোর পর কথা বললেন অভিজিৎ।
প্রভাবশালীর হোটেল বলে জানেন স্থানীয়রা। একজন ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, “অনুব্রতর রিসোর্ট। ওর ভাগ্না চালায়। আরও সব আছে। আমরা জানি না। “