বীরভূম: অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে আসা হল বোলপুরের নির্যাতিতা তরুণীকে। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আদিবাসী এই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় আগেই রিপোর্ট তলব করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমানে তরুণীর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলা যেতে পারে। গত কয়েকদিন ধরে তিনি বীরভূম মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তাঁর রক্তক্ষরণ এতটা বেশি পরিমাণে হয়েছিল যে শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে চলে যায়। ফলে মঙ্গলবার সন্ধেবেলা সাতটা-সাড়ে সাতটা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানকার যে অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁদেরই তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ওই তরুণী। যেহেতু শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে সেই কারণে তাঁকে রক্ত দেওয়ারও প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি তরুণী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেও হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাই চিকিৎসকরা প্রথমেই চেষ্টা করছেন যাতে নির্যাতিতাকে সেই আতঙ্ক থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়।
বস্তুত, গত ১১ এপ্রিল সোমবার বীরভূমের বোলপুরে আদিবাসী পাড়ায় এক তরুণীকে ধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে আসে। নারকীয় এই অত্যাচারের ঘটনায় নাম জড়ায় নিজের বাবা সহ চারজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবতী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁর বাবা সহ চারজন মিলে তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছেন। অভিযোগ, প্রথমে স্থানীয় এক যুবক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। কাউকে সেই কথা জানালে তাঁকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সেই ভয়ে তরুণী কাউকে কিছু না জানিয়ে মাসির বাড়ি চলে যান। পরে চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়ি ফেরেন। এর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই ফের বাবা সহ এলাকার কিছু যুবক তাঁকে পুণরায় ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাটি ওই তরুণী মাসির মেয়েকে জানান। বোনের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি গিয়েই পুলিশে অভিযোগ জানান। ঘটনার দিনই একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ( SDPO) অভিষেক রায়। এরপর মঙ্গলবার ধর্ষণে অভিযুক্ত বাবা সহ বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: Women Physically Harassed: ‘বাবা আর ৩ জন মিলে…’, হাঁসখালি, রায়গঞ্জের পর এবার বোলপুরে ‘ধর্ষিতা’ যুবতী