বীরভূম : কিছুদিন আগে দার্জিলিং সফরে গিয়ে মোমো বানাতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Chief Minister Mamata Banerjee)। বুধবার বীরভূমেও অন্য মুডে দেখা গেল তাঁকে। ঢুকে পড়লেন চায়ের দোকানে। নিজের হাতে বানালেন চা। এদিন বোলপুরের (Bolpur) ডাকবাংলো মাঠে একটি সভা ছিল মমতার। বেলা ১টা নাগাদ সেই সভা শুরু হয়। সভা শেষের পর শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি এলাকায় বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘শিশু তীর্থ’-এ যান মমতা। সেখান থেকে বেরিয়ে এলাকার একটি চায়ের দোকানে আচমকা ঢুকে পড়েন তিনি। খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে দোকানে ঢুকতে দেখে অবাক হয়ে যান দোকানের মালিক। অবাক হয়ে যান তাঁর মেয়েও। বর্তমানে সে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। দিদিকে কাছে পেয়ে চাকরির দাবিও করে ওই কিশোরী।
ওই দোকানেই নিজের হাতে চা তৈরি করেন মমতা। চা-বিস্কুট তুলে দেন তাঁর সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের হাতেও। চায়ের দোকানে গিয়ে দোকানের মালিকের সঙ্গেও এদিন দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় মমতাকে। কথা বলেন তাঁর মেয়ের সঙ্গেও। দিদিকে কাছে পেয়ে দারুণ খুশি দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। চাকরির দাবিও জানান। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওই কিশোরী। মমতাকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তার বাবাও। হাসি মুখেই তিনি বললেন, “উনি এলেন। নিজের হাতেই চা বানালেন আমার দোকানে। আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। কোন ক্লাসে পড়ছে সেটা জানতে চান। স্কুলের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন। আমাদের বাড়িতেও নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম ওনাকে।”
দোকানের মালিকের মেয়ে পায়েল মাড্ডি বলেন, “দিদি নিজে দোকানে এলেন। এটা দেখে খুবই ভাল লাগছে। কোন ক্লাসে পড়ি দিদি জানতে চেয়েছিলেন। আমি দিদিকে চাকরির কথা বলি। বলি চাকরির যদি কিছু ব্যবস্থা হয় তাহলে আমাদের পরিবারের খুব উপহার হয়। দিদি শুনলেন আমার কথা। আমাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম ওনাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।”