CM Mamata on Visva Bharati : ‘বাঁচাতে হবে বিশ্বভারতীকে’, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর; সংসদেও সরব হতে শতাব্দীকে নির্দেশ মমতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 31, 2023 | 7:07 PM

CM Mamata on Visva Bharati : প্রসঙ্গত, বিগত চার বছর ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলার এই স্বনামধন্য শিক্ষপ্রতিষ্ঠান। উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে পড়ুয়ারা।

CM Mamata on Visva Bharati : ‘বাঁচাতে হবে বিশ্বভারতীকে’, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর; সংসদেও সরব হতে শতাব্দীকে নির্দেশ মমতার

Follow Us

বোলপুর : মঙ্গলবারই বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। বৈঠকে পড়ুয়াদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন তিনি। বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন পড়ুয়াদেরই মুখ থেকে। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হন মমতা। সেখানেই তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর দায় সকলের’। ইতিমধ্যেই নানা রকম অভিযোগ তাঁর কানে এসেছে, সবকিছুই তিনি বিচার করে দেখবেন বলেও জানিয়েছেন। নাম না করে কটাক্ষ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেও।

প্রসঙ্গত, বিগত চার বছর ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলার এই স্বনামধন্য শিক্ষপ্রতিষ্ঠান। উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে পড়ুয়ারা। তাঁর বাড়ির সামনেও চলেছে অবস্থান বিক্ষোভ। সাসপেন্ড হয়েছেন বহু ছাত্র। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মমতার বিশ্বভারতীতে বৈঠক বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন পড়ুয়াদের ১৩ জনের একটি দল দেখা করেন মমতার সঙ্গে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কাছে তাঁদের সমস্যার কথা জানান। সূত্রের খবর, যে সমস্ত ছাত্রদের ইতিমধ্যেই এখানে সাসপেনশন সহ নানা কারণে কয়েক বছর নষ্ট হয়েছে তাঁদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস মিলেছে মমতার তরফে। একইসঙ্গে বিশ্বভারতীর সমস্যা উঠতে চলেছে সংসদেও। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়কে এ দায়িত্ব দিয়েছেন খোদ মমতা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানিয়েছেন শতাব্দী। 

এদিন বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বলছে প্রকৃতির মুক্ত অঙ্গনে প্রকৃত শিক্ষা হয়। শুধু পুঁথি পড়েই সবকিছু জানা যায় না। বাস্তবিক অভিজ্ঞতা ও প্রকৃতি মায়ের কোলেই শিক্ষালয় তৈরি হয়, যার নাম শান্তিনিকেতন। আমরা চাই এখানে ছাত্রছাত্রীরা পড়োশোনা করুক। কিন্তু, তাঁদের যেভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। পিএইচডি করতে দেওয়া হচ্ছে না। পিএইচডি করার পরেও বাতিল করা হয়েছে। সাতজন ছাত্র আমার সঙ্গে দেখা আজ করল। ওদের সকলকে সাসপেন্ড করে রেখে দেওয়া হয়েছে। নানারকম ভাবে অত্যাচার চলছে, কিন্তু এগুলো নিয়ে আমি কোনও আলোচনা করতে দেখি না। আমি মনে করি জনমত নির্বিশেষে বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর আমাদের দায়িত্ব।” এরপরেই নাম না করে বিশ্বভারতীর উপচার্যের দিকে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, “যদি কেউ মনে করেন ক্ষমতার জোরে ছাত্রদের, অধ্যাপকদের বা কর্মচারীদের মধ্যে মেরুকরণ করবেন, গৈরিকি করার জন্য তাঁকে বুলডোজ করবেন, ওদের সঙ্গে যদি একটা লোকও না থাকে তাহলেও জানবেন আমি ওদের সঙ্গে আছি।”

Next Article