Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ই-মেল আসেনি,’ এক ঘন্টা অপেক্ষায় অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু করোনা রোগীর

মৃতার ছেলে সন্তোষ রায়ের অভিযোগ, "সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসার পর মাকে ভর্তি করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হলে তাঁরা বলেন এখনও ই-মেল আসেনি। মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ রয়েছে। বারবার জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি হাসপাতাল। প্রায় এক ঘন্টা অ্যাম্বুল্যান্সে থাকার পর মা মারা যান।"

'ই-মেল আসেনি,' এক ঘন্টা অপেক্ষায় অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু করোনা রোগীর
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 04, 2021 | 8:16 PM

বীরভূম: এবার ইমেল বিভ্রাটের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে করোনা রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। এক ঘন্টা ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে অপেক্ষা করতে করতে মারা গেলেন এক করোনা রোগী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা।

জানা গিয়েছে, বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত রজতপুরের পূর্ব বাহাদুর পাড়ায় এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হন গত সাত দিন আগে। এরপর হঠাৎ শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সদস্যরা তাঁকে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে সেখান থেকে বলা হয় রোগীকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এখানে সদ্যই শুরু হয়েছে করোনা চিকিৎসা পরিষেবা।

কিন্তু মৃতার ছেলে সন্তোষ রায়ের অভিযোগ, “সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসার পর মাকে ভর্তি করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হলে তাঁরা বলেন এখনও ই-মেল আসেনি। মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ রয়েছে। বারবার জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি হাসপাতাল। প্রায় এক ঘন্টা অ্যাম্বুল্যান্সে থাকার পর মা মারা যান।” কান্নায় ভেঙে পড়েন যুবক।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান ওই মহিলা। তাদের দাবি, ১৫ মিনিটের বেশি দেরি হয়নি রোগী ভর্তির। সন্তোষের অভিযোগ, কোনও একটা ই-মেল আসেনি, এই কথা বলে তাঁদের ঘণ্টা খানেক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার মধ্যে মায়ের শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে থাকে। তিনি বারবার অনুরোধ করেন মা কে যেন শীঘ্রই ভর্তি করা হয়। এক ঘণ্টা হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও বিনা চিকিৎসায় চলে যেতে হল তাঁর মাকে।

যদিও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত ওই মহিলার ছেলে এমনটা অভিযোগ করলেও হাসপাতালে কর্মরত কর্মীরা কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি। তবে তাদের দাবি, বোলপুর হাসপাতাল থেকে ই-মেল না আসার কারণে কিছুক্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তা বড়জোর ১৫ মিনিটের বেশি নয়।

আরও পড়ুন: বিজেপির এগিয়ে থাকা বুথে কাজ করলেই খুন! অভিযোগ তুলে ইস্তফা তৃণমূল প্রধানের 

তবে তাঁদের যখন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করতে যাওয়া হয় তখন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা থেকে মুখ লুকনোর চেষ্টা করেন। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের সুপার অথবা অন্য কোন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।