সিউড়ি: মাঝে দু’দিনের ব্যবধান। শুক্রবার বীরভূমে সভা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর মুখে উঠে এসেছে বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডলের নাম। শাসকদলকে আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন, এখানকার একজন নেতা গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি। আর দু’দিনের ব্যবধানে সেই সিউড়ির মাটিতে দাঁড়িয়েই শাসকদলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেন। তাঁর মুখে উঠে আসে গরুপাচার মামলা প্রসঙ্গও। অনুব্রতর হয়ে সওয়াল করেন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমাদের নেতাকে বিনা কারণে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।” অমিত শাহ শুভেন্দু অধিকারীকে ‘আমাদের নেতা’ বলেছিলেন, আর ফিরহাদ হাকিম অনুব্রত মণ্ডলকে আমাদের নেতা বলেছেন।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “উত্তরপ্রদেশ থেকে গরু আসে, চলে যায় বাংলাদেশ। সীমান্তে পাহাড়ায় থাকে কেন্দ্রের বিএসএফ। এখানে মাঝখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জুড়লে কীভাবে হবে? গরু পাচারের টাকা যায় উত্তরপ্রদেশ আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।” তিনি আরও বলেন, “অনুব্রতকে, আমাদের নেতাকে বিনা কারণে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।”
এই প্রথম নয়, এর আগেও অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, “অনুব্রত মণ্ডল বাঘ। ওঁকে চিরকাল খাঁচায় আটকে রাখা যাবে না।” মোদ্দাকথা, গরু পাচার রুখতে না পারার দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ঘাড়েই চাপিয়েছেন ফিরহাদ। যে মাটিতে দাঁড়িয়ে শুক্রবার শাহ সরব হয়েছিলেন বাংলার শাসকদলের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ নিয়ে, সেখানে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রকে পাল্টা বিঁধলেন শাসকমন্ত্রী।