আজিজা খাতুন: আজ সরস্বতী পুজো। করোনা পরিস্থিতিতে জেলায়-জেলায় সাড়ম্বরে পুজিত হচ্ছেন বাগদেবী। ইতিমধ্যে অনেক জায়গাতেই কচিকাঁচার দল বেরিয়ে পড়েছে পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে। কলেজ,কোচিং ক্লাসগুলিতেও চেনা ভিড় দেখা গিয়েছে। তবে বীরভূমে বাগদেবীর আরাধনা একটু অন্যরকম ভাবে হল। দেখা গেল অভিনবত্ব। আর গোটা পুজোর পৌরহিত্য করলেন এক আদিবাসী কিশোরী।
শিক্ষার দেবী হিসেবে পুজিত হন দেবী সরস্বতী। আর এই সরস্বতী পুজোয় অভিনবভাবে আয়োজন করল বীরভূমের ইলামবাজার থানার গোপালনগর আদিবাসী পাড়া। প্রীতিকণা জানা নামে এক শিক্ষিকা এই আদিবাসী পাড়ার শিশুদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি ছোট্ট স্কুল। আর সেই স্কুলেই এদিন তিনি সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেন ছোট্ট-ছোট্ট কচিকাঁচাদের নিয়ে। তবে এই সরস্বতী পুজোর কিন্তু বিশেষত্ব রয়েছে। আর পাঁচটা পুজোর মতো এক নয়।
ছোটদের নিয়ে আদিবাসী গ্রামে হচ্ছে পুজো
(নিজস্ব ছবি)
প্রীতিকণা তাঁর ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে খড় ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে ছোট্ট একটি পুজো মণ্ডপ। তাতেই প্রতিমা এনে সুন্দর করে সাজিয়ে আয়োজন করেছেন পুজোর। তবে এই পুজোয় কিন্তু আলাদা করে কোনও পুরোহিত আসেননি। বরং পুরোহিতের জায়গায় পৌরোহিত্য করবেন প্রীতিকণা দেবীর ছাত্রী চৈতালি মুর্মু। এই পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব হল, কোনও ঢাক-ঢোল বাজবে না এই পুজোয়। তার পরিবর্তে বাজবে ধামসা মাদল। আদিবাসী সমাজের যে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, সেই ঐতিহ্য মেনেই বাগদেবীর আরাধনার মত্ত সকলে। বাগদেবীর সবার তাই তার আরাধনার অধিকার সবার, এরকম এবার তা সকলের কাছে পৌঁছে দিলেন প্রীতিকণা। আর এভাবে শিক্ষার আলো পৌঁছে যাক সকলের কাছে।
এই বিষয়ে প্রীতিকণা দেবী বলেন, “এখনও আদিবাসীদের ‘অসভ্য’ জাতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। মনে করা হয় তারা এখনও পিছিয়ে রয়েছে তথাকথিত ‘সভ্য’ সমাজ থেকে। সেই কারণে আদিবাসী রীতি মেনেই এই পুজো করা হল। আমারই এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী এই পুজো করছে। পাশাপাশি ভোগের জন্য শালপাতা ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও কাঁসার বাসন ব্যবহার করা হচ্ছে না। আসলে আদিবাসী সমাজ যে সবার সামনে দাঁড়িয়ে পরিবেশ রক্ষার লড়াই করে সেই লড়াই ও আমাদের জনজীবনকেই তুলে ধরা হল এর মাধ্যমে। ”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আজিজা খাতুন: আজ সরস্বতী পুজো। করোনা পরিস্থিতিতে জেলায়-জেলায় সাড়ম্বরে পুজিত হচ্ছেন বাগদেবী। ইতিমধ্যে অনেক জায়গাতেই কচিকাঁচার দল বেরিয়ে পড়েছে পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে। কলেজ,কোচিং ক্লাসগুলিতেও চেনা ভিড় দেখা গিয়েছে। তবে বীরভূমে বাগদেবীর আরাধনা একটু অন্যরকম ভাবে হল। দেখা গেল অভিনবত্ব। আর গোটা পুজোর পৌরহিত্য করলেন এক আদিবাসী কিশোরী।
শিক্ষার দেবী হিসেবে পুজিত হন দেবী সরস্বতী। আর এই সরস্বতী পুজোয় অভিনবভাবে আয়োজন করল বীরভূমের ইলামবাজার থানার গোপালনগর আদিবাসী পাড়া। প্রীতিকণা জানা নামে এক শিক্ষিকা এই আদিবাসী পাড়ার শিশুদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি ছোট্ট স্কুল। আর সেই স্কুলেই এদিন তিনি সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেন ছোট্ট-ছোট্ট কচিকাঁচাদের নিয়ে। তবে এই সরস্বতী পুজোর কিন্তু বিশেষত্ব রয়েছে। আর পাঁচটা পুজোর মতো এক নয়।
ছোটদের নিয়ে আদিবাসী গ্রামে হচ্ছে পুজো
(নিজস্ব ছবি)
প্রীতিকণা তাঁর ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে খড় ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে ছোট্ট একটি পুজো মণ্ডপ। তাতেই প্রতিমা এনে সুন্দর করে সাজিয়ে আয়োজন করেছেন পুজোর। তবে এই পুজোয় কিন্তু আলাদা করে কোনও পুরোহিত আসেননি। বরং পুরোহিতের জায়গায় পৌরোহিত্য করবেন প্রীতিকণা দেবীর ছাত্রী চৈতালি মুর্মু। এই পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব হল, কোনও ঢাক-ঢোল বাজবে না এই পুজোয়। তার পরিবর্তে বাজবে ধামসা মাদল। আদিবাসী সমাজের যে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, সেই ঐতিহ্য মেনেই বাগদেবীর আরাধনার মত্ত সকলে। বাগদেবীর সবার তাই তার আরাধনার অধিকার সবার, এরকম এবার তা সকলের কাছে পৌঁছে দিলেন প্রীতিকণা। আর এভাবে শিক্ষার আলো পৌঁছে যাক সকলের কাছে।
এই বিষয়ে প্রীতিকণা দেবী বলেন, “এখনও আদিবাসীদের ‘অসভ্য’ জাতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। মনে করা হয় তারা এখনও পিছিয়ে রয়েছে তথাকথিত ‘সভ্য’ সমাজ থেকে। সেই কারণে আদিবাসী রীতি মেনেই এই পুজো করা হল। আমারই এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী এই পুজো করছে। পাশাপাশি ভোগের জন্য শালপাতা ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও কাঁসার বাসন ব্যবহার করা হচ্ছে না। আসলে আদিবাসী সমাজ যে সবার সামনে দাঁড়িয়ে পরিবেশ রক্ষার লড়াই করে সেই লড়াই ও আমাদের জনজীবনকেই তুলে ধরা হল এর মাধ্যমে। ”