
বীরভূম: অনুব্রতর পিঠ বাঁচাতে ফের ময়দানে নেমেছেন মলয় পিট? এর আগে গরু পাচার-কাণ্ডে যখন জেলে গিয়েছিলেন ‘বীরভূমের বাঘ’। সেই সময়েও তলে তলে ‘ঘুঁটি সাজাতে’ দেখা গিয়েছিল এই কেষ্ট-ঘনিষ্ট ব্যবসায়ীকেই। এবারও যখন অডিয়ো-কাণ্ডে বিপাকে অনুব্রত। সেই সময়ও ঘুরপথে কি সাহায্যের হাত বাড়ানো চেষ্টা করছেন মলয়? সাময়িক ঘটনাক্রম দেখে প্রশ্ন উঠছে তেমনটাই।
রবিবার সকালে বোলপুর থানার আইসি-কে ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দেওয়ার অভিযোগে দ্বিতীয়বারের জন্য SDPO অফিসে তলব করা হয় বীরভূমের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু প্রথমবারের মতোই ফের একবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই এলেন না তিনি। বদলে পাঠালেন, কয়েকজন আইনজীবী ও শিক্ষাবন্ধু সেলের রাজ্য সভাপতি গগন সরকারকে।
কিন্তু কেষ্টর বদলে তারা এলেন কেন? SDPO অফিস সূত্রে জানা গিয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডল যে অসুস্থ, সেই নিয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ হিসাবে একটি শংসাপত্র জমা দেন তারা। এই থেকেই শুরু রহস্য। মেডিক্যাল শংসাপত্রের খুঁটিনাটি খোঁজ করতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক বড় তথ্য।
যে প্যাডে সেই মেডিক্যাল শংসাপত্র লেখা হয়, তা শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের। এই হাসপাতাল আবার যে ট্রাস্টি বোর্ডের আওতায়, তার কর্ণধার সেই কেষ্ট-ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী মলয় পিট। কিন্তু মলয়ে সমস্যা কোথায়? অতীতে গরু পাচা র মামলাতে অনুব্রতর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল মলয় পিটের। নিজাম প্যালেসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চড়েছিল জেরা।
জানা গিয়েছিল, কেষ্ট যে গাড়িতে ঘুরতেন, সেই গাড়িটিও ছিল মলয়ের। তদন্তকারীরা এও অভিযোগ তুলেছিলেন, মলয়ের মেডিক্যাল কলেজ হয়েই ঘুরেছে গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা। এমনকি, যেদিন অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাচ্ছিল সিবিআই। সেদিন শক্তিগড়ে একটি মিষ্টির দোকানে সিবিআইয়ের গাড়ি দাঁড়াতেই মলয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের কেনা গাড়ি চেপে এসে কেষ্ট সঙ্গে দেখা করেন কিছু অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি। চলে বৈঠকও। এবার ফের সেই মলয়ের নাম জড়াল অডিয়ো-কাণ্ডেও।