
নানুর: অডিয়োটা ভাইরাল হতেই একেবারে ঝড় উঠে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অলিতেগলিতে। কান খাড়া করে শুনছে জনতা। বারবার পুলিশ ডাকলেও থানায় যেতে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি একসময়ের বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলকে। বর্তমানে শয্য়াশায়ী। এখন সময় বের করতে পারলেই কেষ্টদাকে দেখতে যাবেন, বলছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। ভাইরাল অডিয়ো কাণ্ডের পিছনে রয়েছে তাঁরই হাত। বিতর্কের মাঝেই এই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি।
অনুব্রতর তিহাড় যাত্রার আগে থেকেই অনুব্রত-কাজল কাজিয়া নিয়ে কম জল্পনা শোনা যায়নি। ফিরহাদের এককালের ‘বাঘ’ ঘরে ফিরতেও একই ছবি। কিছুদিন আগে নেতাজি ইন্ডোরের মেগা বৈঠকে অনুব্রতকে ‘সতর্কও’ করতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্পষ্ট বলেছিলেন, কেষ্ট, “কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। কাজলকেও কনফিডেন্সে নিতে হবে।” তারপরেও কী পরিস্থিতির বড় বদল এসেছে? প্রশ্ন ঘুরলেও কাজল বলছেন, কোনওকালেই কেষ্টর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ ছিল না। তাঁর কথায়, “আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারবেন আমার সঙ্গে কেষ্টদার তুতু ম্যা ম্যা হয়েছে? দেখাতে পারবেন না। যখন দেখাতে পারছেন না তাহলে বিভিন্ন জায়গা থেকে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যে সব বার্তা আসছে সেগুলিকে আমি ভুল বলে মনে করি।”
শুধু তাই নয়, সময় বের করতে পারলেই তিনি সোজা গিয়ে অসুস্থ অনুব্রতকে দেখেও আসবেন। এদিন টিভি-৯ বাংলার ক্যামেরার সামনে স্পষ্টতই বললেন কাজল। প্রশ্ন করতেই বললেন, “কেষ্টদাকে দেখতে যাব না তো কখনও বলিনি। অবশ্যই যাব। আমি তো গতকাল ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়েছিলাম। ওনার চোখে অপারেশন হয়েছে। এখনও একটু ব্যস্ত রয়েছি। ব্যস্ততা কেটে গেলেই দেখতে যাব কেষ্টদাকে। ফোনও করব। খোঁজ করব।”