বীরভূম : একসময় বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলে বিবেচিত হতেন তিনি। মমতার দলে সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে তৃণমূলের অগ্রগতিতে তাঁর ভূমিকার কথা অস্বীকার করতে পারে না রাজনৈতিক মহল। মাঝে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু। গেরুয়া শিবিরে মুকুলের যোগদান থেকে আবার ঘাসফুলে ফিরে আসা, সবেতেই শিরোনামে ছিলেন মুকুল রায়। বিশ্বাস করা হয়, তাঁর প্রতিটা পদক্ষেপ বিচক্ষণতার সঙ্গে করা। সেই মুকুল রায়ের মুখে বেফাঁস মন্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে কৃষ্ণনগরের বিধায়ককে ঘিরে।
তৃণমূলে আসার মাস কয়েক পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির নাম। অবলীলায় তিনি বলছেন, রাজ্য জুড়ে পৌর নির্বাচনে জয়ী হবে ভারতীয় জনতা পার্টি, তাও আবার একঝাঁক সাংবাদিকের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আশেপাশের নেতারা মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলেও ভাবলেশহীন মুকুল। তাঁর মুখে লেগে পুরনো হাসি। সঙ্গীদের অবাক করে মুকুল বললেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।’
বীরভূমে যে বিকল্প পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে অংশ নিতেই বোলপুরে গিয়েছেন বিধায়ক মুকুল রায়। আজ শুক্রবার সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে মেলা প্রাঙ্গনের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন মুকুল। কলকাতার পর এবার রাজ্যের অন্য়ান্য জায়গায় পুর নির্বাচন আসন্ন। সে সব নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের কী রণকৌশল, সেই প্রশ্নই রাখা হয়েছিল মুকুলের কাছে।
প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চেনা হাসি হেসে মুকুল বলেন, ‘পৌর নির্বাচনে সারা পশ্চিমবাংলা জুড়ে জয়ী হবে ভারতীয় জনতা পার্টি।’ তাঁর এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই হকচকিয়ে যান আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনিও কার্যত অপ্রস্তুতে পড়ে যান। পাশ থেকে তৃণমূল নেতারা মুকুলের ভুল শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি নিস্পৃহ ছিলেন। পিছনে তাকিয়ে মুকুল গলার স্বর নামিয়ে বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।’ তাঁর এই দ্বিতীয় মন্তব্য নিয়েও তৈরি হয়েছে আরও এক জল্পনা।
তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের কিছুদিন পরই মুকুল রায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় গিয়ে বলেছিলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে। এই কৃষ্ণনগরে স্বমহিমায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপি। নিজের ক্ষমতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপি।” পরক্ষণেই তিনি ভুল বুঝতে পারেন।
ওই ঘটনার দিন সাতেক পর আবার ‘ভুল’! তিনি বলেছিলেন, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হলে তিনিই জিতবেন বিজেপির টিকিটে। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে তা মানুষ ঠিক করবে! এই কথাটি আবার বলেছিলেন বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই। বারবার মুকুলের মতো বিচক্ষণ রাজনীতিকের মুখে কী ভাবে একই ভুল শোনা যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে আবার নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে মুকুসের আইনজীবীর বক্তব্য। দলত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে সওয়াল করতে গিয়ে মুকুল রায়ের আইনজীবী সায়ন্তক দাস দাবি করেছেন, মুকুল রায় কোনও দিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগই দেননি। পাল্টা সওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। তিনি এবিষয়ে রিটেন রিজয়েন্ডার দেবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরানো দল তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন : TMC in Goa: তিন মাসেই মোহভঙ্গ! ধর্মের নামে বিভেদের অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছাড়লেন প্রাক্তন বিধায়ক সহ পাঁচ
বীরভূম : একসময় বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলে বিবেচিত হতেন তিনি। মমতার দলে সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে তৃণমূলের অগ্রগতিতে তাঁর ভূমিকার কথা অস্বীকার করতে পারে না রাজনৈতিক মহল। মাঝে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু। গেরুয়া শিবিরে মুকুলের যোগদান থেকে আবার ঘাসফুলে ফিরে আসা, সবেতেই শিরোনামে ছিলেন মুকুল রায়। বিশ্বাস করা হয়, তাঁর প্রতিটা পদক্ষেপ বিচক্ষণতার সঙ্গে করা। সেই মুকুল রায়ের মুখে বেফাঁস মন্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে কৃষ্ণনগরের বিধায়ককে ঘিরে।
তৃণমূলে আসার মাস কয়েক পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির নাম। অবলীলায় তিনি বলছেন, রাজ্য জুড়ে পৌর নির্বাচনে জয়ী হবে ভারতীয় জনতা পার্টি, তাও আবার একঝাঁক সাংবাদিকের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আশেপাশের নেতারা মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলেও ভাবলেশহীন মুকুল। তাঁর মুখে লেগে পুরনো হাসি। সঙ্গীদের অবাক করে মুকুল বললেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।’
বীরভূমে যে বিকল্প পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে অংশ নিতেই বোলপুরে গিয়েছেন বিধায়ক মুকুল রায়। আজ শুক্রবার সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে মেলা প্রাঙ্গনের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন মুকুল। কলকাতার পর এবার রাজ্যের অন্য়ান্য জায়গায় পুর নির্বাচন আসন্ন। সে সব নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের কী রণকৌশল, সেই প্রশ্নই রাখা হয়েছিল মুকুলের কাছে।
প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চেনা হাসি হেসে মুকুল বলেন, ‘পৌর নির্বাচনে সারা পশ্চিমবাংলা জুড়ে জয়ী হবে ভারতীয় জনতা পার্টি।’ তাঁর এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই হকচকিয়ে যান আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনিও কার্যত অপ্রস্তুতে পড়ে যান। পাশ থেকে তৃণমূল নেতারা মুকুলের ভুল শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি নিস্পৃহ ছিলেন। পিছনে তাকিয়ে মুকুল গলার স্বর নামিয়ে বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।’ তাঁর এই দ্বিতীয় মন্তব্য নিয়েও তৈরি হয়েছে আরও এক জল্পনা।
তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের কিছুদিন পরই মুকুল রায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় গিয়ে বলেছিলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে। এই কৃষ্ণনগরে স্বমহিমায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপি। নিজের ক্ষমতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপি।” পরক্ষণেই তিনি ভুল বুঝতে পারেন।
ওই ঘটনার দিন সাতেক পর আবার ‘ভুল’! তিনি বলেছিলেন, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হলে তিনিই জিতবেন বিজেপির টিকিটে। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে তা মানুষ ঠিক করবে! এই কথাটি আবার বলেছিলেন বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই। বারবার মুকুলের মতো বিচক্ষণ রাজনীতিকের মুখে কী ভাবে একই ভুল শোনা যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে আবার নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে মুকুসের আইনজীবীর বক্তব্য। দলত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে সওয়াল করতে গিয়ে মুকুল রায়ের আইনজীবী সায়ন্তক দাস দাবি করেছেন, মুকুল রায় কোনও দিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগই দেননি। পাল্টা সওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। তিনি এবিষয়ে রিটেন রিজয়েন্ডার দেবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরানো দল তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন : TMC in Goa: তিন মাসেই মোহভঙ্গ! ধর্মের নামে বিভেদের অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছাড়লেন প্রাক্তন বিধায়ক সহ পাঁচ