Birbhum: রাতভর ছাদে তিন বন্ধুর জমিয়ে আড্ডা, সঙ্গী মদ, সকালে বের হল এক বন্ধুর ডেড বডি
Birbhum: গুরুতর আহত হন একুশ বছরের পতীত। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সিউরি সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি।
খয়রাশোল: তিন বন্ধুর আড্ডা বসেছিল বাড়ির ছাদে। সঙ্গী মদ। জমেও উঠেছিল আড্ডা। কিন্তু, কে জানত ছাদেই ঘনাতে চলেছে বড় বিপদ। কে জানত খানিক পড়ে ওই ছাদ থেকে আসা গুলির শব্দে কেঁপে উঠবে গোটা এলাকা। মদ্যপানের আসরেই চলে গুলি। তাতেই তিন বন্ধুর মধ্যে একজনের মৃত্যু। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বীরভূমের কাকরতলা থানার অন্তর্গত আড়ং গ্রামে। ওই এলাকায় বসেছে হরিনাম সংকীর্তনের আসর। চারপাশে উৎসবের মেজাজ। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে এলাকারই যুবক প্রসেনজিৎ বাউরির বাড়ির ছাদে বসেছিল মদের আসর। সেখানেই ছিলেন পতীত পবন মণ্ডল। গুলি লেগেছে তাঁর গায়ে। কিন্তু, কীভাবে গুলি চালোনার ঘটনা ঘটল তা এখনও পরিষ্কার নয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মদের আসরেই বন্ধুদের মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়। কথা কাটাকাটির মধ্যে চলে গুলি। গুরুতর আহত হন একুশ বছরের পতীত। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সিউরি সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। রাস্তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন পতীত।
ঘটনায় শোকের ছায়া পতীতের পরিবারে। শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। খবর গিয়েছে পুলিশেও। তবে শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এলাকা থেকেই খবর যায় পুলিশে। তবে ঘটনার সময় পতীতের সঙ্গে ওই ছাদে যে বন্ধুরা ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। মৃতের এক আত্মীয় বলছেন, ওদের মধ্যে কী হয়েছিল তা তো ঠিক জানি না। ওরা তো একসঙ্গে বসে মদ খাচ্ছিল। ওদের কাছে পিস্তল ছিল বলে শুনেছি। কে এনেছিল তাও জানি না। পতীতের মুখে গুলি লেগেছে। আমরা এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে আনছিলাম। রাস্তাতেই মারা গিয়েছে।