নলহাটি : চোখের সামনে বান্ডিল বান্ডিল টাকা। চকচকে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। বাস্তবে এমন হলে, কে যে কী করবেন… বলা মুশকিল। তবে সততার এক অসাধারণ নজির গড়লেন বীরভূমের এক যুবক। ১ লাখ টাকা চোখের সামনে পড়ে থাকতে দেখে সেগুলিকে তুলে নেন শরিফুল শেখ। তারপর সেই মোটা মোটা টাকার বান্ডিলগুলি নিয়ে সোজা চলে যান নলহাটি থানায়। মালিকানাহীন ওই এক লাখ টাকার বান্ডিল জমা দেন থানার আধিকারিকদের কাছে। এমন ঘটনা প্রতিদিন দেখা যায় না। সততার এক অসাধারণ নজির গড়লেন বীরভূমের শরিফুল শেখ। তাঁর এই সততায় খুশি থানার অফিসাররাও। নলহাটি থানার পক্ষ থেকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয় শরিফুলকে। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি পুষ্প স্তবক।
শরিফুলের বাড়ি নলহাটি থানা এলাকার শ্রীপুর গ্রামে। সোমবার গ্রাম থেকে নলহাটিতে এসেছিলেন শরিফুল। ব্যক্তিগত কাজে। সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। দুপুরে শহরের একটি রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে ঢুকেছিলেন শরিফুল। কিন্তু টাকা তুলতে ঢুকেই বিষয়টি চোখে পড়ে তাঁর। এটিএমের ভিতরে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন মোটা মোটা ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। চকচকে নোটের দু’টি বান্ডিল। ঠিক তাঁর পায়ের সামনেই পড়ে ছিল। এমন সময় অন্য কেউ থাকলে, কী করতেন বলা কঠিন, তবে শরিফুল যা করলেন, তা এককথায় উদাহরণ স্থাপন করলেন। টাকাগুলিকে তুলে নিয়ে বাইকে চেপে চলে যান নলহাটি থানা।
শরিফুল জানিয়েছেন, “আমি এটিএমে টাকা তুলতে গিয়েছিলাম। টাকা তোলার পর আমি দেখি নীচে টাকা পড়ে ছিল। সেই টাকা আমি গুনে দেখেনি। আমি সেই টাকা নিয়ে বেরিয়ে আমি থানায় আসি জমা দিতে। কত টাকা ছিল তখন দেখিনি, পরে জানতে পারি এক লাখ টাকা ছিল।” শ্রীপুুর গ্রামের যুবকের এই সততা দেখে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন থানার পুলিশকর্মীরাও। সোমবার শরিফুল যা করলেন, তা কার্যত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল বলেই মনে করছেন এলাকাবাসীরা।