তারাপীঠ : ভয় পাচ্ছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি! বরাবরই অনুব্রত মণ্ডলের দাপুটে স্বভাব দেখতেই অভ্যস্ত রাজ্য। আর সেই অনুব্রতর ওপরেই এবার ক্রমশ বাড়ছে চাপ। একদিকে গরু পাচার মামলায় রক্ষাকবচ পাননি তিনি। অন্যদিকে বগটুই-হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারা পরিবার সরাসরি অভিযোগ উঠছে সরাসরি অনুব্রত-র বিরুদ্ধে। এই সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, সুকৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর তাঁর জন্য এবার বিশেষ প্রার্থনার বন্দোবস্ত করা হল তারাপীঠে। মঙ্গলবার অনুব্রত-র জন্য যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকালেই গরু পাচার মামলায় রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই তারাপীঠে এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। শান্তি কামনায় অনুব্রত মণ্ডলের জন্য মহাযজ্ঞ করা হয়। তারাপীঠে সেই মহাযজ্ঞের সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, হাঁসন বিধানসভার বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ ভট্টাচার্য। যদিও কেউ কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি। বিরোধীদের দাবি, আদালতে রক্ষাকবচ না পেতেই এবার তারা মায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
গরু পাচারকাণ্ড মামলায় চাপ বেড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। আদালতের রক্ষাকবচ পাননি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। অর্থাৎ এবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডাকলে অনুব্রতকে যেতেই হবে। এতদিন পর্যন্ত হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চে রক্ষাকবচ চেয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। গত ১১ মার্চ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অনুব্রতর আর্জি খারিজ করে দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলে, মঙ্গলবার সেখানেও আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, বগটুইতে নাজেমা বিবির মৃত্যুর পর একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছেন নাজেমার স্বামী শেখলাল শেখ। সরাসরি বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেছেন, বখরা বা তোলাবাজির ভাগ পেতেন অনুব্রতও। অনুব্রত চাইলে গণহত্যা রুখতে পারতেন, এমনটাও দাবি করেছেন শেখলাল। তাই দু দিক থেকেই চাপ বাড়ছে অনুব্রত মণ্ডলের।