Bagtui Massacre: পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও ফোন করেনি দমকলকে! বগটুইকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় পুলিশ

Rampurhat Murder: দমকলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেদিন রাতে দমকল ঘটনাস্থলে সময় মতো পৌঁছাতে পারেনি, কারণ পুলিশ তাদের খবর দেয়নি। অথচ পুলিশের পদস্থ অফিসাররা সেখানেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

Bagtui Massacre: পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও ফোন করেনি দমকলকে! বগটুইকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় পুলিশ
বগটুইয়ে পুড়ে যাওয়া বাড়ি (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2022 | 6:28 PM

রামপুরহাট : বগটুই হত্যাকাণ্ডে এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর মোড়। সিটের পর এবার দমকলের রিপোর্টেও কাঠগড়ায় পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দমকলের ডিজির রিপোর্টেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে পুলিশের উঁচু তলার কর্তারা। দমকলের বক্তব্য, ঘটনার দিন রাতে দমকল ডাকেনি পুলিশ। স্থানীয়রাই দমকলকে খবর দিয়েছিলেন। সেদিন রাতে দমকল দেরি করে এসেছিল বলে একটি তত্ত্ব প্রথম থেকেই উঠে আসছিল। এবার দমকলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেদিন রাতে দমকল ঘটনাস্থলে সময় মতো পৌঁছাতে পারেনি, কারণ পুলিশ তাদের খবর দেয়নি। অথচ পুলিশের পদস্থ অফিসাররা সেখানেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

দমকলের ডিজি তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তারা পুলিশের কাছ থেকে কোনও ফোন পাননি। স্থানীয় বাসিন্দারাই দমকলকে ফোন করেন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ যদি আগে ফোন করত, তাহলে কি দমকল আরও আগে পৌঁছাতে পারত? তাহলে কি আটকানো যেত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড?

পুলিশে করা এফআইআরের তথ্যের ভিত্তিতে, ভাদু শেখ হত্যার পর রাত ৮ টা ৫০ মিনিটে রামপুরহাট থানার সাব ইনস্পেকটর ধ্রুবজ্যোতি দত্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর ৯ টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি জানতে পারেন, গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সময় তিনি ছিলেন বগটুই মোড়ে। ওই এফআইআরেই আরও উল্লেখ রয়েছে, ১০ টা ০৫ মিনিটে বাহিনী এসে পৌঁছায়। বগটুই মোড় থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব এক কিলোমিটার। যাতায়াতে সময় লাগে আনুমানিক তিন মিনিট। সেদিন তাহলে তিন মিনিটের রাস্তা ৩০ মিনিট সময় লেগে গেল?

এদিকে ওই এফআইআরেই উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন দমকল এসেছিল রাত ১০ টা ২৫ মিনিটে। অথচ, দমকলের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, পুলিশের কাছ থেকে তারা কোনও খবর পাননি। বরং স্থানীয় বাসিন্দারাই দমকলে খবর দিয়েছিল। তারপর ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা যখন পৌঁছান, তখন দেখা যায় কাঁচা বাড়ি যেগুলি রয়েছে, সেগুলি জ্বলতে জ্বলতে কার্যত ভষ্মীভূত। পুলিশ সেই সময় দমকলকে যে বাড়িগুলি দেখায় সেগুলিতে তারা আগুন নেভানো শুরু করে। সেই সময় ফটিক শেখের বাড়ি থেকে চার জনকে উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে ফটিক শেখের স্ত্রী মৃত। বাকি তিনজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কিন্তু সোনা শেখের বাড়িতে যে আগুন জ্বলছিল, সেই বিষয়ে তাঁরা সেই সময় পুলিশের থেকে কোনও তথ্য পাননি। রাত দুটোর সময় তারা আগুন নিভিয়ে চলে যান। এমনই তথ্য উঠে এসেছে দমকলের রিপোর্টে। এরপর পরের দিন (মঙ্গলবার) ফের দমকলকে ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় দমকল সোনা শেখের বাড়ি থেকে সাতটি কয়লা হয়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন রাতে দমকল চলে গেল? এখানে সূত্র মারফত জানা দিয়েছে, দমকলের বক্তব্য, পুলিশ এমন কোনও তথ্য দেয়নি যাতে মনে হয় এখানে আরও মানুষ আটকে রয়েছেন। ফলে ফের একবার প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: বগটুইয়ে সিটের তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন মমতা? সাফাই দিলেন কুণাল