শান্তিনিকেতন : রাজ্যে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ। আবারও নির্যাতিতা এক নাবালিকা। চড়কের মেলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বছরের শুরুতেই ফের সামনে এল আরও এক ন্যক্কারজনক ঘটনার অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের শান্তিনিকেতন। জানা গিয়েছে, মেলা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পাঁচ জন। তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠেছে গণধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনায় তিনজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী।
জানা গিয়েছে, এক আদিবাসী নাবালিকা এক নাবালকের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় চড়কের মেলায় গিয়েছিল। মেলা দেখে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, নির্যাতিতার সঙ্গী ওই নাবালককে মারধর করে বেশ কয়েকজন। একটি ফাঁকা জায়গায় তারা যখন গল্প করছিল, তখন আচমকাই আক্রমণ করে ওই দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচজন যুবক মিলে ওই নাবালককে মারধর করে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নদীর ফাঁকা চর এলাকায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরে স্থানীয় লোকজনকে ডেকে আনে নাবালিকার সঙ্গী। খবর পেয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে এলাকার মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর দাবি, শান্তিনিকেতনের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ, তবে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের দাবি, যেহেতু চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, তাই দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে পরপর ধর্ষণ বা গণধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। মাটিয়া, হাঁসখালি, পিংলা বা বোলপুরের ঘটনার পর সম্প্রতি ময়নাগুড়িতেও উঠেছে এক মারাত্মক অভিযোগ। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ যাতে তুলে নেওয়া হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে এক নাবালিকার পরিবারকে। ভয়ে গায়ে আগুন দেয় সেই নাবালিকা। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।