রামপুরহাট : গরু পাচার মামলার তদন্তে প্রায় গোটা জেলা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পর তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে বালি পাচার রুখতে তৎপর হল বীরভূমের পুলিশ। বুধবার ভোরে বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে। কোনও বৈধ নথি ছাড়াই ওই বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারা ওই বালি পাচারের চেষ্টা করছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বুধবার ভোর রাতে বীরভূমের রামপুরহাট থানার পুলিশ তিনটি বালি ভর্তি ট্রাক্টর বাজেয়াপ্ত করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ট্রাক্টরের দুই চালককে। ধৃতদের নাম প্রশান্ত মাহাতো ও হরেকৃষ্ণ মাহাতো। অপর এক ট্রাক্টরের চালক পালিয়ে গিয়েছেন। ধৃতরা রামপুরহাট থানার শালবুনি গ্রামের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন ভোরে তল্লাশি চালায় রামপুর হাট থানার পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে শালবনি গ্রামের কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রাহ্মনী নদী থেকে বালি তুলে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল। বুধবারই ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
তবে বালি পাচারের অভিযোগ শুধুমাত্র রামপুরহাটেই নয়, বীরভূমের একাধিক জায়গায় একইভাবে বালি তোলা হয় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। কৃষকদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বেশির ভাগ কৃষকই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁদের দাবি, পুলিশ-প্রশাসন বা রাজনৈতিক নেতাদের জানিয়েও কোনও লাভ হয়না। অজয় নদীর বাঁধ ভেঙে বালি তোলার কাজ চলছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রেল ব্রিজের অদূরে যে ভাবে বালি তোলা হচ্ছে, তাতে সেতুও ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।
কোটি কোটি টাকার বালি অবৈধভাবে তুলে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়? এর পিছনে কি কারও মদত আছে? এমন প্রশ্নই সামনে আসছে। TV9 বাংলার তরফে ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পুলিশকে বলে কড়া ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। তারপরও ফের বালি পাচারের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হল ওই জেলায়।