বীরভূম: বিস্কুট কিনতে গিয়ে বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল চার বছরের শিশুটি। ৫২ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশেই প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হল ওই শিশুর নিথর দেহ। শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা। দেহ উদ্ধারের পরই অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ। মৃত শিশুর নাম শিবম ঠাকুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত রবিবার বাড়ির পাশেই একটি মুদিখানার দোকানে গিয়েছিল শিবম। বাড়ির থেকে কয়েক পা দূরেই সেই দোকান। মুদি দোকান থেকে আর ফিরে আসেনি সেই ছেলে। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি করে। তবুও কোনও সূত্র পায়নি। ৫২ ঘণ্টা পর ওই শিশুর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে দেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় অভিযুক্তের বাড়িতে। জানা যাচ্ছে, ওই শিশুটির পরিবারের সদস্যের সেলুন ছিল। সেই সেলুনে অভিযুক্ত যুবক কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে গ্রামেরই এক তরুণীর প্রেম ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ ছিল। সেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল ওই শিশুর পরিবার। সেই থেকেই আক্রোশ।
শিশুটিকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ নিখোঁজ হওয়ার পরই পরিবারের তরফ থেকে বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছিল। তবুও ৫২ ঘণ্টা কেন সময় লাগল পুলিশের? পাশের বাড়িতেই যেখানে ছিল শিশুটির দেহ, তাহলে কেন কোনও ক্লু পেলেন না তদন্তকারীরা? তদন্তে কি কোনও গাফিলতি ছিল, সেই প্রশ্ন থাকছে। চার বছরের শিশুর মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। গোটা গ্রাম ফুঁসছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।