Shatabdi Roy on Anubrata: ‘অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে!’, ‘কেষ্ট দা’-র জন্য উদ্বেগ শতাব্দীর
Shatabdi Roy on Anubrata: গত প্রায় ৬ মাস ধরে আসানসোলের জেলে থাকার পর দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। বর্তমানে সেখানেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
বীরভূম : একজন জেলা সভাপতি, অন্যজন দলের সাংসদ। তবু কেষ্ট-শতাব্দীর সম্পর্কে যে একটা দূরত্ব ছিল, তেমনটাই শোনা যায় বীরভূমের রাজনীতিতে। এখন সেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) দিল্লিতে। ইডি দফায় দফায় জেরা করছে তাঁকে। আর সেই সময় বীরভূমের মাটিতে বসে ‘কেষ্ট দা’র জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে শোনা গেল শতাব্দী রায়কে (Shatabdi Roy)। তাঁর আশঙ্কা, অনুব্রত যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন! বৃহস্পতিবার দিদির দূত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শতাব্দী। তিনি বলেন, ‘অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তার দায়িত্ব ইডি, সিবিআইকে নিতে হবে। সেই দায়িত্ব এড়ানো যাবে না।’
গত প্রায় ৬ মাস ধরে আসানসোলের জেলে থাকার পর দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। বর্তমানে সেখানেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাতে বীরভূমের সংগঠনে কতটা প্রভাব পড়বে? সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী বলেন, অনুব্রতর সঙ্গে যে নেতারা সংগঠন করেছেন, তাঁরা জানেন সংগঠন কীভাবে করতে হয়। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? সেটাও সামাল দেওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন শতাব্দী। মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া কোর কমিটির বৈঠক কবে হবে তা নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে, আবাস যোজনায় যে দুর্নীতি হচ্ছে, এদিন তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সাংসদ শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার দিদির দূত হয়ে তিনি সাঁইথিয়া ব্লকের হাতোরা পঞ্চায়েতের অভিরামপুর গ্রামে যান। সেখানে মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরই শতাব্দী রায়কে এক মহিলা বলেন, গ্রামে যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে, তাঁরাই বাড়ি পাচ্ছে। এদিকে অভিরামপুর স্কুলে গেলে সাংসদকে কাছে পেয়ে ছাত্রীরা অভাব-অভিযোগের কথা বলেন। হাসানপুর থেকে গোয়ালগ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন পড়ুয়ারা। আশ্বাস দেন সাংসদও।