সিউড়ি: বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে চাঁদিফাটা রোদ্দুরে সভা করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ভিড়ও হয়েছিল অনেক। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি বাজিয়ে দিয়েছেন শাহ। টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন লোকসভা ভোটের জন্য। বাংলা থেকে লোকসভায় ৩৫টি আসন জিততেই হবে। জানিয়ে দিয়েছেন মোদীর সেনাপতি। শুধু তাই নয়, জানা যাচ্ছে বিশেষ কিছু লোকসভা কেন্দ্রের দিকেও বাড়তি নজর দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, কোর কমিটির বৈঠকে অমিত শাহ বার্তা দিয়ে রেখেছেন, জিততেই হবে বীরভূমের লোকসভা আসন। প্রয়োজনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সবরকম সাহায্য করবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বোলপুর আসনের দিকেও বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিশেষ নজর দিচ্ছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হলেও, দলের রাজ্যস্তরের ও জেলাস্তরের নেতৃত্বকে লক্ষ্যপূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইস্যুগুলির উপর আরও জোর দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শক্তি ও দলের লোকবল আরও বাড়ানোর উপর নজর দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। দলস্তরের বৈঠক ও কর্মসূচি আরও বাড়ানোর কথাও উঠে এসেছে শাহি আলোচনায়। এদিন বিজেপির বীরভূম লোকসভার কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকেই এই বিষয়গুলি উঠে এসেছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এক উল্কাগতির উত্থান দেখেছিল বঙ্গ বিজেপি। ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু কেষ্টগড় বীরভূমে দাঁত ফোঁটানোর সুযোগ পায়নি। বীরভূমের দুই লোকসভা কেন্দ্র – বীরভূম ও বোলপুর – দুই জায়গাতেই উড়েছিল সবুজ আবির। বীরভূমে সাড়ে ৬ লাখের বেশি ভোট পেয়ে সাংসদ হয়েছিলেন শতাব্দী রায়। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপির দুধকুমার মণ্ডল। প্রাপ্ত ভোট ছিল সাড়ে ৫ লাখের কিছু বেশি। ব্যবধান ছিল এক লাখেরও কম, প্রায় ৯০ হাজার। প্রাপ্ত ভোট শতাংশের হারও বাড়িয়ে ২০.৫২ শতাংশে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি।
এই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ছে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, হাসান, নলহাটি ও মুরারই। গত লোকসভার হিসেবে সাতটির মধ্যে চারটিতে এগিয়ে ছিলেন দুধকুমার। কিন্তু দুই বছর কাটতে না কাটতেই একুশের বিধানসভা ভোটে ওই চারটি বিধানসভার (দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট) মধ্যে কেবলমাত্র দুবরাজপুরেই জয় পেয়েছিল বিজেপি। বাকিগুলিতে হাসি ফোটেনি বিজেপির মুখে। এমন অবস্থায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের দিকে আরও নজর দিতে চাইছে বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব।