বীরভূম: বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন মিটেছে। সদ্যই গিয়েছে উপনির্বাচন। এ বার, রাজ্যে পুরভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই, একসঙ্গে সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করা হবে রাজ্যে এমনটাই দাবি করেছিল পদ্ম শিবির। সে প্রসঙ্গেই পাল্টা কটাক্ষ ছুড়লেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।
তৃণমূল নেতার কথায়, “আদালতক সম্মান করি। আদালতের রায়কে সম্মান করি। রাজ্যসরকারের ভোট এটা। নির্বাচন কমিশন রয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কমিশন নেবে।” একইসঙ্গে অনুব্রতর আরও সংযোজন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে কী হবে! ওসব বাহিনী-টাহিনী এনে কিছুই হবে না। এই তো ভোট করাল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। কী লাভ হয়েছে। ওদের কি চারটে হাত-পা বেশি আছে না কি! বিজেপি একটা ভাল প্রার্থী দিক বরং কাজে দেবে।”
প্রসঙ্গত, সব পুরসভায় (Municipality) একসঙ্গে ভোট (Election) হচ্ছে না কেন, এই নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি (BJP)। এর পিছনে শাসক দলের কোনও অভিসন্ধি আছে বলেই মনে করছে তারা। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মামলার প্রস্তুতি।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আইনজীবীদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আসন্ন পুরভোটে অশান্তির আশঙ্কাও রয়েছে বিজেপির। ভোট নিরপেক্ষতার সঙ্গে নাও হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাই যথেষ্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীও যাতে উপস্থিত থাকে সেই বিষয়টাও দেখার কথা আদালতে জানাবে বিজেপি। পাশাপাশি বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, জানুয়ারি মাসে নতুন ভোটারের তালিকা প্রকাশ হয়। ঘোষণা হয়, ফলে পরে ভোট হলে অনেক নতুন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হোক পুরনির্বাচন। এমনটাই দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। পূর্বেই এই কথা জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেছিলেন, “আমরা চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হোক। যদিও তাতে বিশেষ লাভ হবে না জানি, কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনারা এলেও তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে কোচবিহারের রাজবাড়ি দেখতে অথবা কলকাতায় ভিক্টোরিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে জেলাপুলিশের কথামতো চলে। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব। দলের কর্মী সমর্থকদের লড়াই করতে নির্দেশ দিয়েছি। যেকোনও পরিস্থিতিতে যেন লড়াই থেকে কেউ সরে না আসেন।”