রামপুরহাট : তৃণমূলের বিরুদ্ধে বয়ান বদলানোর অভিযোগ উঠেছে আগেই। ঘটনার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। আর তার জেরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শুরুর আগেই কী ভাবে তৃণমূল নেতা শর্ট সার্কিটের তত্ত্ব খাড়া করে দিলেন, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে। আর এবার মুখ খুললেন সেই তৃণমূল নেতা যাঁর বিরুদ্ধেই মূলত উঠছে অভিযোগ। তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়েছে, এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। আগুনে পুড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের লোকজনের মুখেই শোনা যাচ্ছে আনারুলের নাম। কিন্তু অভিযোগের কথা শুনে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন আনারুল। তবে অনুব্রতর দাবি নস্যাৎ করে তিনি মন্তব্য করেছেন, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মৃতের পরিবারের অনেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে অভিযোগ করেছেন আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে। আর এই বিষয়ে আনারুলকে প্রশ্ন করলে তিনি সাফ জানান, ওই সময় এলাকাতেই ছিলেন না তিনি। শুধু তাই নয়, শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন আনারুল।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আনারুল জানিয়েছেন, ভাদু শেখ খুনের পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বার বার শান্তির বার্তাও দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু ওই দিন রাত গড়াতেই গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। কার্যত হত্যালীলার সাক্ষী হয় বগটুই। মৃত্যু হয় অন্তত ১০ জনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ ব্লক সভাপতি আনারুল নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে।
আর আনারুলের দাবি, ভাদু খুনে অভিযুক্তরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যালীলা চালিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আনারুলের। আনারুল বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলেও কোথাও তাঁকে এলাকায় দেখা যাবে না। তবে তাঁর দাবি, পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল।