বীরভূম : তাঁকে ভোট দিলে সর্বক্ষণ দেখতে পাওয়া যাবে, টাকা খরচ করে সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে হবে না। একসময় ভোট প্রচারে গিয়ে এমনটাই বলে তৃণমূলের (TMC) তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy) বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন। তবে শুক্রবার ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হিসেবে সকাল সকাল তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন রামপুরহাটে। সাংসদকে সামনেই পেয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা। আর সে সব অভিযোগ শুনতে শুনতে মেজাজ হারিয়ে ফেললেন সাংসদ। ‘একই কথা ১৪ বার বলছেন কেন?’, বিরক্ত হয়ে বললেন ‘দিদির দূত’। পরে অবশ্য শতাব্দীর ব্যাখ্যা, তিনি নাকি মজা করে বলেছেন।
সামনে বসে থাকা মহিলারা কেউ বলছেন, বিধবা ভাতা পান না, কেউ বলছেন, তাঁদের ঘর নেই। কেউ জল, কেউ রাস্তা… অভিযোগ ঘুরেফিরে একই। সে সব শুনতে শুনতে মেজাজ হারাতে দেখা যায় শতাব্দী রায়কে। তিনি বলেন, ‘তোমরা সামনে বসে একই কথা ১৪ বার বলে যাচ্ছ।’ পরে তিনি আশ্বস্ত বলে বলেন, ‘দুয়ারে সরকারে যাঁরা বিধবা ভাতার নাম লিখিয়ে এসেছ, তারা একে একে ভাতা পেয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আর কোনও প্রশ্ন করো না।’ আর আবাস যোজনার ঘর কেন মিলছে না? শতাব্দীর উত্তর, ‘যাঁদের বাড়ি আছে, বাইক আছে, টিভি আছে, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন তো? এটা আর নতুন করে বলতে হবে না। আজন্মকাল ধরে পশ্চিমবঙ্গে এটা হয়ে আসছে।’
এলাকাবাসীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সমস্যার কথা শুনতে শুনতে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন সাংসদ। কিন্তু কী বললেন শতাব্দী? অভিনেত্রী একগাল হেসে বলেন, ‘আমি তো মেজাজ হারাইনি। হেসেই বলেছি, একই কথা কেন বলছ? ওটা তো মজা। মজা করেই বলেছি।’
তবে গ্রামবাসীদের সঙ্গে খোশ মেজাজে সেলফি তুলতেও এদিন দেখা গেল শতাব্দীকে। তিনি জানিয়েছেন, সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি। মূলত আবাস যোজনা, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা নিয়েই অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন শতাব্দী।