TMC Worker Murder: রাতভর খোঁজ মেলেনি, পুলিশের একটা ফোনেই জানা গেল তৃণমূল কর্মীর ‘আসল রহস্য’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 05, 2022 | 3:04 PM

Birbhum: মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, গতকাল বিকেলে কাজী নুরুল হাসান ময়ূরেশ্বরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মল্লারপুর আসেন

TMC Worker Murder: রাতভর খোঁজ মেলেনি, পুলিশের একটা ফোনেই জানা গেল তৃণমূল কর্মীর আসল রহস্য
মৃত তৃণমূল নেতা (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বীরভূম: ভোটের আগে হোক বা পরে। অশান্তি লেগেই রয়েছে শাসকদলের অন্দরে। পুরভোটের সময় অশান্তির আগুন প্রকাশ্যে চলে আসে। কিন্তু ভোট মেটার পরও শান্তি আসেনি। বীরভূমের বৃহস্পতিবারের ঘটনা অত্যন্ত তেমনই বলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যকে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কারোর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি পরিবার।

বীরভূমের মল্লারপুর থানার খড়াসিনপুর গ্রামের ঘটনা। মৃত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নাম কাজী নুরুল হাসান ওরফে আকাশ। কাজী ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। বুধবার রাতে মল্লারপুর থানার পুলিশের কাছ থেকে খবর পান ওই তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যরা। হন্তদন্ত হয়ে তাঁরা পৌঁছান রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাজী নুরুল হাসানকে দেখতে যান তাঁর বাড়ির লোকজন। পরে রাতেই তিনি মারা যান।

মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, গতকাল বিকেলে কাজী নুরুল হাসান ময়ূরেশ্বরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মল্লারপুর আসেন। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তাঁকে ফোন করেন স্ত্রী। সেই সময় পুলিশ তাঁদের জানায় কাজী নুরুল হাসানকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে মৃতের স্ত্রী ও কাকার অভিযোগ, কাজী নুরুল হাসানকে খুন করা হয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।

পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, “রাত্রিবেলা আমরা খবর পেলাম ওর দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা হলে কোথাও তো ক্ষত চিহ্ন থাকবে। কিন্তু তাতো ছিল না। আমরা পুলিশের কথামতো হাসপাতালে এসে দেখি শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ওঁর তখন শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। আর নাক এবং মুখ থেকে ব্লিডিং হচ্ছিল। পুলিশের থেকে জানতে পারি ওকে মল্লারপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছ। তারপর আমরা এলাম। এসে যদিও পুলিশের কাউকে দেখতে পাইনি। দলের লোকেরাই কেউ করেছে। এর আগে দু’বার হামলা করা হয়েছিল আমার বাড়িতে। দুবার মারার জন্য বাড়িতেও আসে। কিন্তু বাড়িতে না পেয়ে চলে যায়। এবার হাতে পেয়েই শেষ করে দিল। ওর মাথার পিছনে শুধু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

 

Next Article