বীরভূম: কখনও পৌষমেলার দাবি, কখনও বা পড়ুয়াদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য বারবার উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেও সেই একই ছবি ধরা পড়েছে সেখানে।উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে বের করতে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাধল বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধেও। পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঢিল মারতেও দেখা গেল।
এ দিন, একটি ভিডিয়োয় দেখা যায় হাতে ঢিল তুলে নিয়েছেন উপাচার্য। এবং সেই ঢিল ছুড়ে মারছে পড়ুয়াদের দিকে। যদিও, ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। এই বিষয়ে এক ছাত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, “যে উপাচার্য গুলি করার নির্দেশ দিতে পারে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে, মার খাওয়াতে পারে তার কাছে ঢিল ছোড়াটা আশা করাই যায়।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছে বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। তারপর থেকেই টানা ২১ দিন বাড়িতে আটকে ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। বিশ্বভারতীর সেই অচলাবস্থা এখনও পর্যন্ত বর্তমান। এরপর গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে চার ছাত্রসহ তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করা হয়।
সূত্রের খবর, সোমবার উপাচার্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ফরমান জারি করে যেমন করে হোক এই গৃহবন্দি অবস্থা থেকে বের করতে হবে। মঙ্গলবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কথামতো প্রায় শতাধিক নিরাপত্তারক্ষী ও কয়েকজন অধ্যাপক উপাচার্যের বাসভবন থেকে তাঁকে বের করতে যান। ঠিক তখনই অবস্থার অবনতি ঘটে। পড়ুয়াদের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বেধে যায়। শুরু হয় হাতাহাতি। অবশেষে কোনও রকমে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বাসভবন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উপাচার্যের কার্যালয়ে।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্বভারতীতে। ঘটনার জেরে বিশ্বভারতী চত্বরে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রায় দু ঘণ্টা পর আবারও উপাচার্যের কার্যালয় থেকে বাসভবনে যাওয়ার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি বাধে। তখনই দেখা যায় পড়ুয়াদের উদ্দেশে ঢিল ছুড়তে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও বিতর্ক তৈরি হয় এই উপাচার্যকে কেন্দ্র করে। ছাত্রদের অভিযোগ ছিল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তাঁর আমলে তিনি বিশ্বভারতীর অনেক ক্ষতি করেছেন । হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে অনেক কাজ করেছেন নিজের ইচ্ছামত। এরপর তাঁরা অভিযোগ করেন, উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন কথা বলতে যান তখন তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে নির্দেশ দেন তাঁদের আন্দোলনকারীদের গুলি চালানোর জন্য। গুলি চালানোর নির্দেশের সেই খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ক্যাম্পাসে। এরপর আজ আবার ঢিল ছুড়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন তিনি।
বীরভূম: কখনও পৌষমেলার দাবি, কখনও বা পড়ুয়াদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য বারবার উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেও সেই একই ছবি ধরা পড়েছে সেখানে।উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে বের করতে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাধল বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধেও। পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঢিল মারতেও দেখা গেল।
এ দিন, একটি ভিডিয়োয় দেখা যায় হাতে ঢিল তুলে নিয়েছেন উপাচার্য। এবং সেই ঢিল ছুড়ে মারছে পড়ুয়াদের দিকে। যদিও, ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। এই বিষয়ে এক ছাত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, “যে উপাচার্য গুলি করার নির্দেশ দিতে পারে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে, মার খাওয়াতে পারে তার কাছে ঢিল ছোড়াটা আশা করাই যায়।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছে বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। তারপর থেকেই টানা ২১ দিন বাড়িতে আটকে ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। বিশ্বভারতীর সেই অচলাবস্থা এখনও পর্যন্ত বর্তমান। এরপর গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে চার ছাত্রসহ তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করা হয়।
সূত্রের খবর, সোমবার উপাচার্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ফরমান জারি করে যেমন করে হোক এই গৃহবন্দি অবস্থা থেকে বের করতে হবে। মঙ্গলবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কথামতো প্রায় শতাধিক নিরাপত্তারক্ষী ও কয়েকজন অধ্যাপক উপাচার্যের বাসভবন থেকে তাঁকে বের করতে যান। ঠিক তখনই অবস্থার অবনতি ঘটে। পড়ুয়াদের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বেধে যায়। শুরু হয় হাতাহাতি। অবশেষে কোনও রকমে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বাসভবন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উপাচার্যের কার্যালয়ে।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্বভারতীতে। ঘটনার জেরে বিশ্বভারতী চত্বরে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রায় দু ঘণ্টা পর আবারও উপাচার্যের কার্যালয় থেকে বাসভবনে যাওয়ার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি বাধে। তখনই দেখা যায় পড়ুয়াদের উদ্দেশে ঢিল ছুড়তে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও বিতর্ক তৈরি হয় এই উপাচার্যকে কেন্দ্র করে। ছাত্রদের অভিযোগ ছিল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তাঁর আমলে তিনি বিশ্বভারতীর অনেক ক্ষতি করেছেন । হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে অনেক কাজ করেছেন নিজের ইচ্ছামত। এরপর তাঁরা অভিযোগ করেন, উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন কথা বলতে যান তখন তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে নির্দেশ দেন তাঁদের আন্দোলনকারীদের গুলি চালানোর জন্য। গুলি চালানোর নির্দেশের সেই খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ক্যাম্পাসে। এরপর আজ আবার ঢিল ছুড়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন তিনি।