বীরভূম : এক সপ্তাহ ধরে যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে নাজেমা বিবির। বগটুইতে সোমবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন নাজেমার স্বামী শেখলাল শেখ। সরাসরি বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করলেন, বখরা বা তোলাবাজির ভাগ পেতেন অনুব্রতও। শুধু অনুব্রত নয়, পুলিশ, আনারুল প্রত্যেকে ভাদু শেখের ব্য়বসা থেকে বখরা বা তোলার টাকা পেতেন বলে অভিযোগ শেখলালের।
সোমবার নাজের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি উল্লেখ করেন, মৃত উপপ্রধান ভাদু শেখের বেআইনি কয়লা ও বালির ব্যবসা ছিল। আর সেই বেআইনি ব্যবসার জন্য তোলার ভাগ দেওয়া হত অনেককেই। তাঁর দাবি, সেই বখরার ভাগ পেতেন ওসি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বগটুই-এর স্বজনহারাদের পরিবার আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোয় ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বগটুই-কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়াল এই প্রথম। শেখলালের অভিযোগ, ভাদু শেখের লোকজনই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল।
শেখলাল আরও জানান, ভাদুর সঙ্গে ছিলেন ৪০-৫০টা ছেলে। তাঁরা পাথরের গাড়ি থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলাবাজি করতেন। ভাদু খুন হওয়ার পর থেকে আর তাঁদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলেই দাবি নাজেমার স্বামীর।
সেই রাতে এতবার বোমা পড়া সত্ত্বেও কেন পুলিশ গেল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। শেখলাল জানিয়েছেন, রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে আগুন লাগলেও, সেই আগুন নেভাতে দমকল যায় মঙ্গলবার সকালে। পাশাপাশি তাঁর দাবি এসডিপিও তাঁদের পাড়াতেই থাকেন। হেঁটে গেলেও ৫ মিনিট লাগবে। আর থানা থেকে গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছতে লাগে ৮ থেকে ১০ মিনিট। তা সত্ত্বেও সেই রাতে কেউ আসেনি।
তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরই বগটুইয়ের এই হত্যাকাণ্ড। আর সেই ভাদু শেখের বাবা নিজেই জানিয়েছেন, বখরার ভাগ না দেওয়ার জন্যই খুন হতে হয়েছে ভাদু শেখকে। বছর খানের আগে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখের ভাই। আর এবার ভাদু শেখ। তৃণমূল করতে গিয়েই দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ভাদু শেখের।
আরও পড়ুন : Amit Shah-Dhankhar meet: বগটুই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল
বীরভূম : এক সপ্তাহ ধরে যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে নাজেমা বিবির। বগটুইতে সোমবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন নাজেমার স্বামী শেখলাল শেখ। সরাসরি বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করলেন, বখরা বা তোলাবাজির ভাগ পেতেন অনুব্রতও। শুধু অনুব্রত নয়, পুলিশ, আনারুল প্রত্যেকে ভাদু শেখের ব্য়বসা থেকে বখরা বা তোলার টাকা পেতেন বলে অভিযোগ শেখলালের।
সোমবার নাজের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি উল্লেখ করেন, মৃত উপপ্রধান ভাদু শেখের বেআইনি কয়লা ও বালির ব্যবসা ছিল। আর সেই বেআইনি ব্যবসার জন্য তোলার ভাগ দেওয়া হত অনেককেই। তাঁর দাবি, সেই বখরার ভাগ পেতেন ওসি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বগটুই-এর স্বজনহারাদের পরিবার আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোয় ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বগটুই-কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়াল এই প্রথম। শেখলালের অভিযোগ, ভাদু শেখের লোকজনই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল।
শেখলাল আরও জানান, ভাদুর সঙ্গে ছিলেন ৪০-৫০টা ছেলে। তাঁরা পাথরের গাড়ি থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলাবাজি করতেন। ভাদু খুন হওয়ার পর থেকে আর তাঁদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলেই দাবি নাজেমার স্বামীর।
সেই রাতে এতবার বোমা পড়া সত্ত্বেও কেন পুলিশ গেল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। শেখলাল জানিয়েছেন, রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে আগুন লাগলেও, সেই আগুন নেভাতে দমকল যায় মঙ্গলবার সকালে। পাশাপাশি তাঁর দাবি এসডিপিও তাঁদের পাড়াতেই থাকেন। হেঁটে গেলেও ৫ মিনিট লাগবে। আর থানা থেকে গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছতে লাগে ৮ থেকে ১০ মিনিট। তা সত্ত্বেও সেই রাতে কেউ আসেনি।
তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরই বগটুইয়ের এই হত্যাকাণ্ড। আর সেই ভাদু শেখের বাবা নিজেই জানিয়েছেন, বখরার ভাগ না দেওয়ার জন্যই খুন হতে হয়েছে ভাদু শেখকে। বছর খানের আগে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখের ভাই। আর এবার ভাদু শেখ। তৃণমূল করতে গিয়েই দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ভাদু শেখের।
আরও পড়ুন : Amit Shah-Dhankhar meet: বগটুই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল